হাই-টেক পার্কগুলো স্থাপন হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এতে করে রফতানিও বৃদ্ধি পাবে। ২০২১ সালে আইটি খাতে দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং এ খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে হাই-টেক পার্ক স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (০৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নেন্স এর প্রথম সভায় এ নির্দেশ দেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বোর্ড অব গভর্নেন্সর এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চন্নু, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ সামাদ, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময়ে কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর হাই-টেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
সভায় কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক স্থাপনে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
সভায় জানানো হয়, ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক ও মহাখালী আইটি ভিলেজ, যশোরে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, জামালপুর এবং নাটোরে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে অবহিত করা হয়।