পাবনা: চোর সন্দেহে পাবনায় হরিজন যুবক তুলসী চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন।
রোবাবর দুপুর ১টার দিকে পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা শাওন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে শনিবার ১১টার দিকে ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাবেক পৌর কাউন্সিলর এ কে হাসান হীরাকে (৫৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক বাংলামেইলকে জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাবেক পৌর কাউন্সিলর এ কে হাসান হীরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হীরা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে।
এদিকে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নিহতের স্বজন ও হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পাবনা টাউন হলের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সেখানেই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় জেলা পরিষদ প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করেন বিক্ষোভকারীরা।
পরে দুপুর ১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেন তারা।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় শহরের নিয়ম ফুড লিমিটেড কারখানায় চোর সন্দেহে তুলসী চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে কারখানার লোকজন। পরে ঘটনার প্রতিবাদে নিহতের স্বজন ও হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন শহরের শালগাড়িয়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে কারখানার মালিক ও তার ভাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।