স্ত্রীকে নির্যাতনে শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে হিরো আলমকে। বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বগুড়া সদর থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে হিরো আলমকে। এর আগে, পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় নিজের বাড়িতে স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমিকে পিটিয়ে আহত করেন হিরো আলম। পরে তার স্ত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে মার খেয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তবে আত্মগোপনের আগে তিনি বগুড়া সদর থানায় তার ওপর হামলা হওয়ার পাল্টা অভিযোগ করেন।
হিরো আলমের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই হিরো আলম আমাকে মারধর করেন। পরশু (সোমবার) রাতে তিনি ঢাকা থেকে আসেন। খাবারের পর মোবাইলে কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি নিষেধ করলে বলেন, আমি ১০টা মেয়ে নিয়ে ঘুরবো, যা ইচ্ছে তাই করবো। আমি ঢাকায় বিয়ে করেছি। এভাবে থাকতে পারলে থাকো না হলে চলে যাও। এক পর্যায়ে আমার গলা চেপে ধরে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে জখম করেন।’
অন্যদিকে হিরো আলমের মারধরে স্ত্রী আহত হওয়ায় বগুড়া সদর থানায় তার নামে অভিযোগ দায়ের করেন তার শ্বশুর।
হিরো আলমের শ্বশুর জানান, আশরাফুল হোসেন আলম থেকে হিরো আলম হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তার আচার-ব্যবহার পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি মাঝেমধ্যেই বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পারিবারিকভাবে বিচার-শালিস করা হলেও হিরো আলম ইদানীং তার মেয়ের সঙ্গে বেশি দুর্ব্যবহার করেছেন।
স্ত্রী ও শ্বশুরের অভিযোগের বিষয়টির খোঁজ নিতে রাতে বগুড়ায় সদর থানায় গেলে হিরো আলমের অভিযোগ বাতিল করে তার নামে মামলা রেকর্ড করা হয়। এ মামলায় থানাতেই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।