মাগুরার শ্রীপুরে স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা সমাদ্দারকে (১৪) অপহরণ, ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
তিন আসামী হলেন-মো. ইউসুফ জোয়ার্দার (২৫), মো. জিল্লুর রহমান (২৫) ও আক্কাস শেখ (২৬)।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম নুরুল ইসলাম,আবদুল মতিন খসরু ও আহসান উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান, সৈয়দা সাবিনা আহমেদ ও মারুফা আক্তার শিউলি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তিন আসামীর অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। ৩০২ ধারায় তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত তাঁদের বয়স বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। তবে আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল দায়ের করবো’।
সাধারণত বেশি বয়স বা কম বয়স হলে আসামীর মৃত্যুদণ্ড কমানো হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ঘোষিয়াল গ্রামের মনোজিত সমাদ্দারের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা সমাদ্দারকে একদল দুর্বৃত্ত ২০১০ সালের ৪ আগস্ট অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তাকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় পূর্ণিমার বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মাগুরা আদালতে ঘোষিয়াল গ্রামের মো. ইউসুফ জোয়ার্দার, মো.জিল্লুর রহমান ও আক্কাস শেখকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
পরে এ ঘটনায় ২০১১ সালের বিচারিক আদালত স্কুলছাত্রী পূর্ণিমাকে অপহরণের অভিযোগে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং হত্যার অভিযোগে তিন আসামিকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে আসে।
এসবের ওপর শুনানি শেষে আজ আদালত এই রায় দেন।