গত ৭ডিসেম্বর তারিখ শুক্রবার, দুপুর ১টায় নাঃগঞ্জ সোনারগাঁর নগরজোয়ারে শ্রী শ্রী কমলা প্রিয়া বৈষ্ণবী আখড়ায় স্থাপিত মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি টিম। উক্ত প্রতিনিধি টিমের নেতৃত্ত্ব দেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার ।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি টিমের সাথে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মানবধিকার বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধো শংঙ্খনাথ তরুয়া, হিন্দু যুব ফোরামের সিনিঃ সহ-সভাপতি গোপাল চন্দ্র মন্ডল,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রচার সম্পাদক সঞ্জীব মন্ডন ও সবুজ দাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তদন্তকালে উক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন অভিলম্বে উক্ত বিষয়ে মামলা গ্রহন করে তদন্তপূর্বক দোষীদের বের করে আইনামলে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে বলে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোড় দাবী জানান।
গত ৫ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১১টায় নাঃগঞ্জ সোনারগাঁর নগরজোয়ারে শ্রী শ্রী কমলা প্রিয়া বৈষ্ণবী আখড়ায় স্থাপিত মন্দিরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের দ্বারা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উক্ত মন্দিরের কমিটির গোপীনাথ সাহা,তপন সাহা,তুলসী সাহা পক্ষে মন্দির কমিটির সাঃ সম্পাদক লিটন কুমার সাহা বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ডাঃ আঃ রব এর ইন্ধনে আঃ ওহাব-গং ও কিছু অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়ীঘরসহ অন্যান্যদের বাড়ীঘর ভাংচুর করে এবং দখলের চেষ্টা চালায় তাতে আমারা আইনের আশ্রয় গ্রহন করে কোনরকম বেচেঁ আছি।তারই ফলশ্রুতীতে একের পর এক অন্যায় কাজ আমাদের গ্রামে ঘটে চলেছে। গত ২৮নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উক্তমন্দিরের টিনের ভেড়া ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা,তারই পরিপ্রেক্ষীতে সোনারগাঁ থানায় আমি নিজে বাদী হয়ে ২৯ নভেম্বর একটি সাধারণ ডাইরী করি যাহার নং-১২১৮। জিডি করার প্রায় সাত দিন পেড়িয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেনি।সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপড় ভয়ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে ও নতুন রাস্তা নির্মানকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস।তবে ৬ ডিসেম্বর মন্দিরে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আস্বস্থ করেন। উক্ত ঘটনায় বর্তমানে আমরা আরো অনাকাঙ্খিত বিপদের আশংঙ্খায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছি।
উল্লেখ্য নগরজোয়ারে শ্রী শ্রী কমলা প্রিয়া বৈষ্ণবী আখড়ায় নিজ নামে মোট প্রায় ৮৪ শতাংশ জমি থাকা সত্বেও স্থানীয় বিভিন্ন মহল জায়গাটি দখলের অপচেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ও বিভিন্ন উপাত্ত হতে জানা যায় শ্রী শ্রী কমলা প্রিয়া বৈষ্ণবী আখড়ার জায়গাটি সি এস খতিয়ান মূলে খারিজা তালুক জমিদার চন্দ্রনাথ সেন,জোত হর সুন্দরী বৈষ্ণবী রায়ত স্থিতিবান অত্র স্বত্বের দখলদার রাধা প্রিয়া বৈষ্ণবী, এস এ ও আর এস খতিয়ান মূলে কমলা প্রিয়া বৈষ্ণবীর নামে রয়েছে তাই বৈষ্ণব ধর্মের এক মহান প্রচারকের স্মৃতি বিজরিত এই আখড়া রক্ষা কল্পে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এখানে প্রতিবছর শ্রীশ্রী দূর্গাপূজাসহ একটি মন্দির স্থাপন করে পূজাঅর্চনা করে আসছে, তাতে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিসাধন করে আসছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা ।এলাকাবাসী এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে রক্ষা কল্পে মানণীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংস্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।