ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০২:৫৯:২৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

সুন্দরবনে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬, চামড়া,অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

| ২৫ শ্রাবণ ১৪২২ | Sunday, August 9, 2015

সুন্দরবনে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

সুন্দরবনের ফাইল ছবি

সুন্দরবনে কয়রা থানা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছয় বাঘ শিকারী নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাঘ শিকারীদের কাছ থেকে পুলিশ বাঘের ৩টি চামড়া, ৫টি অস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে কয়রা থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।   নিহতরা হলেন- কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের মজিদ গাজী, মামুন গাজী, বাপ্পী হোসেন, আনসার সানা, সিদ্দিক সানা ও রফিকুল ইসলাম।   কয়রা থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, গোপন সংবাদে রোববার ভোররাত ৩টার দিকে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রাম থেকে সুন্দরবনের বনদস্যু ইলিয়াস বাহিনীর সদস্য মজিদ গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে বাঘের ৩টি চামড়া উদ্ধার করা হয়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে আরও ৫ জনকে আটক করা হয়।   তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণ শিকারের কথা স্বীকার করে। এরপর তাদের অন্যান্য সহযোগীকে গ্রেফতারের জন্য সোমবার তাদেরকে নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদেরকে নিয়ে মান্দারবাড়িয়া খাল এলাকায় অভিযানে যাওয়া হয়।   ওসি জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এরপর ওই ৬ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদেরকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   খুলনার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান,নিহতরা সুন্দরবনের বনদস্যু এবং তারা বাঘ-হরিণসহ বন্য প্রাণী শিকারের পর পাচার করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্য প্রাণী পাচারকারীদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় গোপন সংবাদে অভিযান শুরু করা হয়েছিল। বনদস্যু ও বাঘ-হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।