বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে সাক্ষাতের কথা বলে আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে সংখ্যালঘু পরিবারের অবিবাহিত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফয়জুল ইসলামের বিরুদ্ধে।সোমবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতারণার শিকার ভিকটিম নিজের ওপর ধর্ষণ ও পরবর্তী সময়ে অন্ত:সত্ত্বা হওয়ায় আইনি প্রতিকার চেয়ে ওই ইউপি সদসস্যেও বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রতারণার শিকার ভিকটিম তরুণী তার দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমার বাবা নেই। আমাদের মা পরিবারের দেখাশুনা করেন। সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফয়জুল ইসলাম প্রায় ছয় মাস পূর্বে আমাকে বিদেশ পাঠাবেন বলে প্রস্তাব দেন। আমি বিদেশ যাব বলে রাজি হলে ওই ইউপি সদস্য আমাদের পরিবারে যাওয়া-আসা করে। প্রায় দুই মাস পূর্বে আমার বিদেশ যাওয়া নিশ্চিত বলে তিনি(ইউপি সদস্য) আমাকে ঢাকা অফিসে সাক্ষাতের কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যায়। ওই সময় ঢাকায় বিদেশী কোন অ্যাম্বেসিতে কোনো রকম আমার সাক্ষাৎ নেয়া হয়নি। তিনি ঢাকার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে আমাকে আটকে রেখে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেন। যে কারনে বর্তমানে আমি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মঙ্গলবার দুপুরে ভিকটিম এই প্রতিবেদককে আরো বলেন, ‘আমার অসহায়ত্বের সুযোগে ওই ইউপি সদস্য বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে আমায় ঢাকায় নিয়ে গিয়ে কৌশলে একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে তার লালসা চরিতার্থ করতে আমার সর্বনাশ করেছে। এতদিন লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খুলিনি কিন্তু আমি তো এখন নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছি। আমার গর্ভে থাকা সন্তান ধীরে ধীরে যখন ১০ মাস পুর্ণ হতে যাবে ততই সমাজের লোকজন জানতে চাইবে আমার গর্ভে থাকা এ অনাকাংখিত সন্তানের পিতৃপরিচয় কী? তখন আমি কী বলব? তাই এমন প্রশ্নের মুখোমুখী হওয়ার আগেই আমি ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি অনেকটা বাধ্য হয়ে।’
সদর উপজেলার গৌরারং ইউপি সদস্য মো. ফয়জুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, পুলিশী তদন্তের পর পরই ওই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।