ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:৩৯:১৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সাড়ে সাতশ টাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্স!

| ৩০ ভাদ্র ১৪২২ | Monday, September 14, 2015

01

নিউজ ডেস্ক :: রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাইভিং লাইসেন্স জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাবেক সেনাসদস্য মো. সাইদুর রহমান শিমুল, মো. সিরাজুল ইসলাম জিন্নাত, মো. আবদুর রাজ্জাক ও সাবেক পুলিশ সদস্য মো. বজলুর রহমান।

গতকাল রবিবার বিকাল পাঁচটার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি এলজি মনিটর, একটি সিপিইউ, একটি কার্ড প্রিন্টার, সাতটি আংশিক সম্পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড, ছয়টি নকল তৈরি ডাইভিং লাইসেন্স কার্ড, ২১ অসম্পূর্ণ পিবিসি সাদা কার্ড, দুইট হলোগ্রাম রিবন গোল্ডেন, সাতটি সিলভার কালার ও দুইটি কালো কালার উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা নকল লাইসেন্স প্রস্তুতের সাথে জড়িত। তারা ভুয়া বিআরটিএ অফিসার সেজে নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে বিভিন্ন লোকের কাছে একেকটি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স সাড়ে সাতশ টাকা, নকল ফিটসেন সার্টিফিকেট পাঁচশ টাকা ও ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট সাড়ে তিনশ টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করে থাকে।

মনিরুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাইদুর রহমান শিমুল অসদারচণের কারণে পাঁচ বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচুত্য হয়। বজলুর রহমান ২০ বছর আগে একই অভিযোগে পুলিশ থেকে চাকরিচুত্য করা হয়। শিমুল ও বজলুর রহমান মিলে ব্যবসাটি পরিচালনা করত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সার্বিক তত্ববধায়নে সিনিয়র সহকারী কমিশনার যায়েদ শাহরীয়ার নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাশরেকুর রহমান খালেদ, পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাহবুবুল আলম, পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মুনতাসিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।