ঢাকা, মার্চ ২৮, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ২০:৩৫:৫১

সাহসিকতার জন্য পুরুস্কৃত হলেন নারী সহকারী উপ-পরিদর্শক ফরিদা খানম টগরের

| ৭ ফাল্গুন ১৪২১ | Thursday, February 19, 2015

 পেশাগত দায়িত্বপালনই প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে নারী সহকারী উপ-পরিদর্শকফরিদা খানম টগরের।   সাথে এ নারী পুলিশ অফিসার পার করছেন জীবনেরপ্রতিটি পদক্ষেপ। সর্বশেষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই নাশকতাকারীকে পাকড়াও করে আবোরো আলোচনায়আসেন তিনি।

নিজের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শকের নিকটথেকে পুরস্কার। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন ও তার হাতেতুলে দিয়েছেন নগদ অর্থ পুরস্কার। বাংলাদেশের নারীদের জন্য আরেক প্রেরণারউৎস হলেন ফতুল্লা থানায় কর্মরত ফরিদা খানম টগর। বাংলাদেশের আইন-শৃংখলাবাহিনীতে কর্মরত একমাত্র নারী হিসেবে তিনিই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন গত ১২ফেব্রুয়ারী দুই নাশকতাকারীকে একাই আটক করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি যেসাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা যোগাবে।তার যে কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম সত্যিই প্রশংসনীয়। এজন্য সরকার কৃর্তকপুরস্কারও পেয়েছেন। এ ব্যাপারে ফরিদা খানম টগর বলেন, পুরস্কার বড় কথা নয়, দায়িত্ববোধই বড় বিষয়। আমি যখন ইউনিফর্ম গায়ে দেই তখন মনে হয় সবার আগে আমারদায়িত্ব, তারপর অন্যকিছু। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনা করে ১৯৯৯ সালের ১আগষ্ট রাজবাড়ীতে ১ম জয়েন্ট করি। ২০১১ সালে জাতিসংঘ মিশনে আমেরিকার হাইতিপ্রদেশে অংশগ্রহণ করেন। চাকরি করতে গিয়ে অনেক জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছেন।জীবনে কখনো দ্বিতীয় হননি তিনি। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধকতা সব জায়গায় থাকে, এটাই চলমান রীতি। এক্ষেত্রে আমাদের সকলপ্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় সততা।সততাই হল আমার প্রধান শক্তি । সততা থাকলে জীবনে চলার পথে কোথাও থেমে থাকতেহবে না। আমার চাকরি চলাকালীন সময়ে কোথাও কোন চল-চাতুরি কিংবা দূর্নীতিরআশ্রয় নেয়নি। কাউকে এককাপ চা পর্যন্ত খাওয়াতে হয়নি। ফলে আমার চলার পথে কোনবাধার সম্মুখীন হতে হয়নি।