মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা।
সারা দেশ থেকে এক হাজার ৮৪১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে এদের আটক ও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) এস এম মনির-উজ-জামান আজ বুধবার এ তথ্য জানান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমার নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান বলেন, ‘মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা চট্টগ্রামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে।’
সভায় নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দা সারোয়ার জাহান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যাটি তৈরি হওয়ার পর এখন ৬৫৮ জন পুলিশ সদস্য রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিপদের সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্ত চক্র তাদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। অসহায় রোহিঙ্গাদের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নেওয়ার অপরাধে এ পর্যন্ত ১৭৬ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।’
চট্টগ্রামের হাসপাতালে অসুস্থ ও আহত রোহিঙ্গাদের তথ্য দিতে গিয়ে ডিআইজি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী চিকিৎসা নিতে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে ৩৮ জনকে। হাসপাতালে দুজন মারা যান।