ঢাকা, মার্চ ১৯, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১১:২২:৩১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

সাক্ষরতার হার ১০ বছরে ২৬ শতাংশ বেড়েছে

| ৭ চৈত্র ১৪২৪ | Wednesday, March 21, 2018

ঢাকা : গত ১০ বছরে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড পরিমাণ ৭২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশে সাক্ষরতার হারের ওপর ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিসটিক্স (ইউআইএস)-এর ২০১৬ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এক দশকে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারীর মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ৭৫ দশমিক ৬২ এবং ৬৯ দশমিক ৯০।
এই তথ্যে দেখা যায়, গত ১০ বছরে শিক্ষিত যুবক ও যুব মহিলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৬ সালে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলার মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৯২ দশমিক ২৪ ভাগ। যা ২০০৭ সালে ছিল ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ইউআইএস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতার হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারত ৬৯ দশমিক ৩০ ভাগ, নেপাল ৫৯ দশমিক ৬৩ ভাগ, ভুটান ৫৭ দশমিক ০৩ ভাগ ও পাকিস্তানসহ ৫৬ দশমিক ৯৮ ভাগ অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে।
ইউনেস্কো শিক্ষাক্ষেত্রে গত ১০ বছরে শতভাগ সাক্ষরতার হার ও শিক্ষায় গুণগত মান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পসহ নীতিমালা প্রণয়ন ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে সাফল্যের প্রশংসা করেছে।
ইউআইএস অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে দ্বিগুণ ৪৩৯৯.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় করেছে, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৯৯৩.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে ৭ হাজার ৮৮৫ মিলিয়নেরও বেশি (৬৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।
সবার জন্য শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা-২০১০ প্রণয়ন করেছে।
এই লক্ষ্য অর্জন নীতিমালায় শিক্ষার মূল সম্পদ নিশ্চিত করা, শ্রেণীকক্ষ ও পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাইজেশন করা, শিক্ষাক্রম সংস্কার, সৃজনশীল প্রশ্ন চালু, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।