ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:১৪:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

সশস্ত্র বাহিনীকে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার করেনি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

| ৮ অগ্রহায়ন ১৪২৩ | Tuesday, November 22, 2016

সশস্ত্র বাহিনীকে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার করেনি :প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেনি। আওয়ামী লীগ সবসময়ই এই বাহিনীকে শক্তিশালী, সুশৃঙ্খল ও মর্যাদাপূর্ণ একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছে। বর্তমানে আধুনিক সমরাস্ত্রে পারদর্শী বাহিনী হিসেবে সশস্ত্রবাহিনীকে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীকে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে ব?্যবহার না করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। গতকাল সোমবার বিকালে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সশস্ত্র বাহিনীকে আমরা কখনো ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার কিংবা বারবার ক্যুর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর শত শত অফিসার বা সৈনিকের হত্যাকাণ্ড ঘটাইনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে কাজ করেছে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করছে। সুসজ্জিত আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গঠনে কাজ করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে চায়; যে বাহিনীর সুনাম দেশে-বিদেশে সমাদৃত হবে। বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। একইসঙ্গে স্মরণ করেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ মহান মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের ত্যাগ ও বীরত্বগাঁথায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটি দক্ষ ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা। সে কারণেই স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি গভীর প্রজ্ঞা ও     দূরদৃষ্টি নিয়ে একটি আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এসময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র বাহিনীর যে সুদৃঢ় ভিত্তি রচনা করে গেছেন তারই ওপর দাঁড়িয়ে আজ আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতার পরিচিতি দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিশ্ব দরবারে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আজ তাদের নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের নির্ভরতা অর্জন করছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ উদ্ধার তত্পরতা ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনকল্পে সশস্ত্র বাহিনী দেশপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো নির্মাণ, আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং জাটকা নিধন রোধসহ বিভিন্ন জাতি গঠনমূলক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে চলেছে। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সশস্ত্র বাহিনী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এসব কল্যাণমুখী ও জনহিতকর কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম করে তোলার জন্য সরকার কার্যকরী পরিকল্পনা নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন যুদ্ধসরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করার প্রয়াস অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণ এবং সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে নতুন পদাতিক ডিভিশন ও বেশ কিছু ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করেছে। এ সরকারের চলতি মেয়াদে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, সরঞ্জামাদি ও জনবলের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। পদ্মা সেতুর আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ এবং নিরাপত্তার জন্য একটি কম্পোজিট ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া মিঠামইনে একটি রিভারাইন ব্রিগেড প্রতিষ্ঠার কাজও শুরু হয়েছে। অতি শীঘ্রই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লেবুখালিতে একটি পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা লাভ করবে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্রিগেড পর্যায়ে স্পেশাল ফোর্স গঠনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আমাদের এই সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করছে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ নৌবাহিনী এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম হেলিকপ্টার এবং মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযুক্ত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি কার্যকরী ত্রি-মাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। খুব শিগগির নৌবাহিনীতে কমিশনিং হতে যাচ্ছে বহু আকাঙ্ক্ষিত দু’টি সাবমেরিন। এই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নৌবাহিনী একটি দক্ষ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হবে, যা আমাদের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ অবদান রাখবে।
সিলেটে পদাতিক ডিভিশন ও নয়টি ইউনিট আগামী ২৩ ডিসেম্বর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্রিগেড পর্যায়ে স্পেশাল ফোর্স গঠনের বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে দুটি সাবমেরিন সংযোজনের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা, যা চীন থেকে অচিরেই আসছে। নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নৌবাহিনী যেন আকাশেও চলতে পারে, সাগরেও চলতে পারে এবং সাগরের তলদেশেও চলতে পারে, সেই সুরক্ষা আমরা করে দিয়েছি।’ সামপ্রতিককালে বিমান বাহিনীতে এফ-৭ বিজি যুদ্ধবিমানসহ হেলিকপ্টার ও অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সংযোজনের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সেনাকুঞ্জে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মাদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান সস্ত্রীক তাকে স্বাগত জানান। বিউগলে সুরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ানোর পর জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। জাতীয় সংগীত শেষে বক্তব্য রাখেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির (এ) চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ড. মসিউর রহমান, তারেক আহমেদ সিদ্দিক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কূটনীতিকরা ছিলেন অনুষ্ঠানে।
মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের কল্যাণে
প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদেরকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৬ উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে বীর শ্রেষ্ঠগণের উত্তরাধিকার ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরীদের জন্য অনেক কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং আরো অনেক প্রস্তাব ও পরিকল্পনা বিবেচনার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচ সদস্যের শান্তিপদক প্রাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতির যেকোনো প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী নিবেদিত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস শুধুমাত্র দেশেই নয়, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের সততা, নৈতিকতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।’
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মাদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতির যে কোনো প্রয়োজনে নিবেদিত থাকার অঙ্গীকার এবং যথাযোগ্য মর্যাদা ও উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সোমবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির শুরুতে দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোত্সর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে পৃথক পৃথকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে শহীদদের স্মরণে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছলে তাঁদেরকে স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। মুক্তিযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান এবং মহাপরিচালকবৃন্দ। সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত্ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্ধারিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনী
প্রধানের সাক্ষাত্
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তিন বাহিনী প্রধানগণ গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক, নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল আবু এসরার গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গভবনে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।