বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার লেখা একটি বই বের হয়েছে। ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল’, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামের বইটি ১৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার অ্যামাজনে উন্মুক্ত করা হয়েছে। অ্যামাজন বইটির একটি ক্ষুদ্র অংশ প্রকাশ করেছে, যেখানে বিচারপতি সিনহা দাবি করেন, ২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের কারণে বর্তমান সরকার তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। ওই রায়ের মাধ্যমে তিনি বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে যাওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার বইতে লিখেছেন, ‘২০১৭ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে একটি ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার পর বর্তমান সরকার আমাকে পদত্যাগে এবং নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকদের সর্বসম্মত ওই রায়ে রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রবণতা নিয়ে আমি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছি, সেটি দেশের মানুষ ও সুশীল সমাজ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ভালো গুরুত্ব পায়।’ বইয়ের অন্য আরেক জায়গায় এস কে সিনহা লিখেছেন, ‘আমি আমার সরকারি বাসবভনে বন্দী ছিলাম। আইনজীবী এবং বিচারপতিরা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। মিডিয়াকে বলা হয়েছে আমি অসুস্থ এবং আমার চিকিৎসা ছুটি চেয়েছি। কয়েকজন মন্ত্রী বলেছেন আমি চিকিৎসা ছুটিতে বিদেশে যাব। ১৪ অক্টোবর, ২০১৭ আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করার সময় আমি একটি বিবৃতি দিয়ে সবার কাছে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম যে আমি অসুস্থ নই এবং চিরতরে দেশও ত্যাগ করছি না।’বিচারপতি সিনহা দাবি করেছেন, এরপর তার পরিবার ও স্বজনদের ভয়-ভীতি দেখানোয় তিনি বিদেশে থাকতেই পদত্যাগপত্র জমা দেন। সংবাদ উৎস - প্রিয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের একটি অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পর, এ নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে নিজেই ওই অশ্লীল ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও রেজিস্ট্রারের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম। জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম ইমামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’ তবে তদন্ত কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি ভিসি।
এদিকে, মঙ্গলবারের মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর সিডিসহ একটি বেনামি চিঠি শিক্ষকদের কাছে ডাকযোগে আসে। এরপর ওই চিঠি ও সিডি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ওই চিঠিতে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অশ্লীল ভিডিও ফুটেজসহ তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে।
শিক্ষক নেতরা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এর ৪৪ (৬) নম্বর ধারা অনুযায়ী নৈতিক স্খলন একটি অমার্জনীয় অপরাধ। এমন চরিত্রের রেজিস্ট্রারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি ছাত্রীরাও নিরাপদ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নিয়ে যে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে আমি তাকে স্বাগত জানাই।’ উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন
খবরটি শেয়ার করুন