সিভিল প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মিথ্যা কথা বলে ভালো ভালো সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বালুর মাঠে পৌঁছান তিনি। খালেদা পৌঁছলে নেতা-কর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান। তিনিও হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এ দেশে আজ কোনো প্রতিষ্ঠান ঠিক নেই। সব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ধ্বংস করছে। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সবখানে চলছে দুর্নীতি।
এ সময় খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ভালো ভালো অফিসারদেরকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কয়েক দিন আগে একজন অফিসারকে মিথ্যা অভিযোগে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিচারকদের উদ্দেশে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বিচারকরা ১৫টি মামলায় হাসিনাকে খালাস দিয়েছে। দেশের বিচারব্যবস্থা কোন পর্যায়ে গেছে? বিচারকরা আওয়ামী লীগ দেখলেই খালাস দেয় আর বিএনপি-জামায়াত হলেই বলেন, জেলে পুরো। বিডিআর হত্যার দায়সহ সকল হত্যার জবাব হাসিনাকে দিতে হবে। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বোঝা সরাতে হবে। এই অত্যাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারলে দেশে শান্তি আসবে।
খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এখনো খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাদের ধরা হয়েছে তাদেরকেও রাখা হয়েছে জামাই আদরে। নারায়ণগঞ্জে সাতজন নয় ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন খালেদা জিয়া। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরকার জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডে জড়িত কর্নেল জিয়াকে ধরা হচ্ছে না। কারণ, তাঁকে ধরলে সব গোপন তথ্য বের হয়ে যাবে। কর্নেল জিয়ার ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা নেই। অবিলম্বে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, খুনি হয়েও জিয়া কেন চাকরিতে থাকবে?
গ্যাসের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, রাজধানীর গুলশানের মতো জায়গায় মানুষ গ্যাস পায় না। মানুষ গ্যাস, বিদ্যুৎ পায় না। আবার সরকার নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। বলছে, গ্যাস, বিদুৎ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়াবে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে গেছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো যাবে না, বরং কমাতে হবে। যদি দাম বাড়ানো হয়, তাহলে ২০ দলীয় জোট ঘরে বসে থাকবে না। এ সময় তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, কর্মসূচি দিলে পালন করবেন? সবাই ইতিবাচক উত্তর দিলে তিনি বলে ওঠেন শাবাশ, শাবাশ।