ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৫:৫২:৫৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

‘সম্প্রচার নীতিমালায় অসম্পূর্ণতা থাকলে পূরণ করা হবে’ প্রধানমন্ত্রী

| ১৯ ভাদ্র ১৪২১ | Wednesday, September 3, 2014

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালায় কোনো অসম্পূর্ণতা থাকলে আইনের মাধ্যমে তা পূরণ করা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়া হবে।'সম্প্রচার নীতিমালায় অসম্পূর্ণতা থাকলে পূরণ করা হবে'আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 

অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সকল অংশীজনদের সঙ্গে সময় নিয়ে আলোচনার করে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে‑ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নীতিমালার খসড়া ২১ দিন তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া ছিল। এখন বিভিন্ন সমালোচকরা যেসব প্রশ্ন তুলছেন, তখন এসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়নি।

এর আগে বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলামের (মিলন) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, নীতিমালার ধারাবহিকতায় ‘স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন’ গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। নীতিমালায় কোনো অসম্পূর্ণতা থাকলে আইনের মাধ্যমে তা পূরণ করা যায়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম যাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে, সেজন্য এই নীতিমালা।

সংসদ নেতা জানান, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া প্রণয়নের জন্য ২০১২ সালের ১ নভেম্বর ১৬ সদস্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিনিধিরা ছিলেন। তারা বিবিসিসহ পাশ্ববর্তী দেশগুলোর নীতিমালা পর্যালোচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালে সেপ্টেম্বরে খসড়া নীতিমালা সাধারণ মানুষের মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এতে অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স (এটকো) আর্টিকেল-৯, টিআইবি, এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যাণ্ড কমিউনিকেশনস, কম্পিউটার সমিতি, পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতামত পাওয়া যায়। পরে এ সংক্রান্ত কর্মশালায়ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে। পরে মন্ত্রিসভা গত ৪ আগস্ট সামান্য সংশোধনীসহ খসড়াটি অনুমোদন করে। কাজেই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখন সমালোচকরা যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, খসড়া চূড়ান্ত করার আগে তারা তা উত্থাপন করেননি। কাজেই আমরা আশা করি, এই নীতিমালা জারি হলে গণমাধ্যম অধিক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। নীতিমালার ধারাবাহিকতায় একটি স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। নীতিমালায় কোনো অসম্পূর্ণতা থাকলে আইনের মাধ্যমে তা পূরণ করা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়া হবে।’

এ কে এম রহমতুল্লাহর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে এর বাস্তবায়ন বন্ধ করে দেয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে একজন উপজাতিকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও তারা একজন অউপজাতীয়কে নিয়োগ দেয়। ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠিত হলেও বিএনপি-জামায়াতে সময় এ কমিশন অকার্যকর ছিল। যে কারণে সেখানে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসে ঘাটতি তৈরি হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, শান্তিচুক্তিতে ৭৮টি ধারা রয়েছে। এরমধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়িত, ১৫টি আংশিক বাস্তবায়িত এবং নয়টি বাস্তবায়নাধীন।

ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার বিরোধপূর্ণ সমুদ্র এলাকার মধ্যে আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশকে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা দিয়েছে। এখন সমুদ্রে মৎস্য শিকার, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, সমুদ্রসীমা রক্ষাসহ সব অধিকার সুরক্ষায় কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরের জন্য ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেখানে ২০৫টি প্লট ১৫৫ জন উদ্যোক্তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪৯ জন তাদের লে-আউট পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য বিসিকে জমা দিয়েছে। তারমধ্যে দুটি সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠিয়ে বাকিগুলো অনুমোদন করা হয়েছে।

মুহিবুর রহমানের (মানিক) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে মসলিন কাপড় তৈরি হয় না। তবে ঢাকার সোনারগাঁও, ডেমরা, রূপসী, তারাবো, মিরপুর ও টাঙ্গাইলে মসলিনের অনুরূপ কাপড় তৈরি হচ্ছে। এই শিল্প রক্ষার জন্য তাঁতবোর্ড ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।