ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:১৯:০৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সমন্বিত ও সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু

| ১৪ ভাদ্র ১৪২৪ | Tuesday, August 29, 2017

  ঢাকা : স্বাধীনতা পরবর্তী পুনর্গঠন কার্যক্রমে শিক্ষাকে প্রধান খাত হিসেবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য সুদৃঢ় অভিন্ন সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা ও একাডেমিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।
শোকের মাসে শিক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেয়া উদ্যোগ স্মরণ করে শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নিজে থেকেই স্বতস্ফূর্তভাবে বুঝতে পেরেছিলেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য মানবসম্পদ প্রয়োজন, এটি নিশ্চিত করতে হলে সকল স্কুলে গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন, একটি স্বাধীন জাতির জন্য প্রয়োজন এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যা সর্বস্তরের জনগণের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। এজন্য তিনি সমন্বিত শিক্ষানীতি প্রণয়নে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদাকে এই কাজে সম্পৃক্ত করেন।
তিনি বলেন, কুদরত-ই-খুদা কমিশন প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মানগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন এবং ১৯৭৪ সালে এই রিপোর্ট বঙ্গবন্ধুর কাছে পেশ করে।
তবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার পর কয়েকদশক ধরে ওই রিপোর্ট অন্ধকারেই পড়েছিল। পরে ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন করে।
প্রফেসর সিদ্দিকের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান সার্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জন্য বিপুলসংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ছিল উচ্চাভিলাসী ও সাহসী এবং অত্যন্ত কঠিন পদক্ষেপ।’ শিক্ষাকে বঙ্গবন্ধু যে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তাতে বঙ্গবন্ধুর মানসিকতা প্রতিফলিত হয়েছে।
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর শাসনকালে প্রায় ২৬,০০০ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন।
অন্যদিকে প্রফেসর সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সার্বজনীন শিক্ষার সমন্বিত পদ্ধতি ছাড়াও বঙ্গবন্ধু উচ্চতর স্তরে একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উভয়ই পাকিস্তানী শাসকদের কন্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিভিন্ন সংকটকালে জাতীয় ইতিহাসে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ প্রণয়ন করা হয়। দেশের উচ্চশিক্ষা বিকাশে সহায়ক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাডেমিক স্বাধীনতা দিতে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ ছিল একটি মাইলফলক।
ঢাবি ভিসি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সর্বোত্তম বিনিয়োগ হিসেবে শিক্ষাখাতের ব্যয়কে বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর তীব্র আকাক্সক্ষা অনুযায়ী শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়, রাষ্ট্র অভিন্ন, সার্বজনীন ও গণভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং সকল শিশুকে বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে আইনগতভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সমাজের প্রয়োজনে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত এবং উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তুলবে।