ঢাকা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:২৩:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

সংখ্যালঘু প্রকল্পগুলো তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী নাজমা হেপাতুল্লাহকে নির্দেশ নরেন্দ্র মোদির

| ৭ আশ্বিন ১৪২১ | Monday, September 22, 2014

ভারতেসদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনে হিন্দুত্বের জোয়ার তুলেছিল প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি ও সঙ্ঘ। কিন্তু তিনি নিজে যে ‘মুসলিম-বিরোধী’ নন, মার্কিন সফরের আগে সে দেশের চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই বার্তাটিইপুনরায় স্পষ্ট করলেন মোদি। উপনির্বাচনে খারাপ ফলের কারণ হিসেবেসংখ্যালঘু ইস্যুকে অনেকটাই দায়ী করা হচ্ছে।

তাই এ থেকে পরিত্রানের জন্যসংখ্যালঘু প্রকল্পগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী নাজমা হেপাতুল্লাহকে ইতোমধ্যেই সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেনপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী চান সংখ্যালঘুদের জন্য কেন্দ্র যেসব পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে, তাআরও বেশি করে প্রকাশ্যে আসুক। তা হলেই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যাবে যে, মোদিসরকার কোনও ভাবেই সংখ্যালঘু-বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে না। বরং লোকসভা ভোটেরপ্রচারে ‘কাউকে তোষণ নয়, উন্নয়ন সকলের জন্য’ বলে মোদি যে স্লোগানতুলেছিলেন, সেই অবস্থানে তিনি এখনও অনড়। সংখালঘু মন্ত্রী নাজমাহেপতুল্লাহ বলেন, “বিজেপি ভোটে জয়লাভের পর অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয়টিই রাখবেন না। সেটি যেমনঅপপ্রচার ছিল, তেমনই আজও যেভাবে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে মুসলিম-বিরোধীবলে প্রচার করছে, সেটিও হাস্যকর। সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করেচলেছে আমাদের মন্ত্রনালয়।” কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনসিংহের সময়ে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য ১৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।১১টি মন্ত্রনালয়ের ২৪টি প্রকল্পের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ সংখ্যালঘুদের জন্য রাখাহয়েছিল। কিন্তু মোদি সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দাবি, ওই সবপ্রকল্পে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করার বদলে কংগ্রেস দলের তোষণ রাজনীতিইপ্রাধান্য পেয়েছিল। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেসব প্রকল্প চালু রাখার পাশাপাশি নতুন আরও একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নাজমাহেপতুল্লাহ আরো জানান, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে মোটবরাদ্দের পরিমাণ ৩,৭১১ কোটি রুপি। ১,১৩০ কোটি রুপি (ইউপিএ ও এনডিএ জমানামিলিয়ে) ইতোমধ্যেই অনুমোদন করা হয়েছে। যার সিংহভাগ ৯৫০ কোটি রুপি অনুমোদনহয়েছে মোদি সরকার আসার পর, গত তিন মাসে। সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয়জানিয়েছে, মোদির জন-ধন প্রকল্পের মাধ্যমে সকলের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টখোলা হচ্ছে। যাতে দেশের ৭১০টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ব্লক ও ৬৬টি শহর বেছেনিয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে গেলে বৃত্তির টাকাথেকে সুদ মওকুফের মতো যাবতীয় সুবিধা সরাসরি সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছে দেওয়াযাবে। ওয়াকফ বিল সংসদে পাশ হলে ফি-বছর ১২ হাজার কোটি রুপির রাজস্ব আসবে।যার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন বেশি করে ঢেলে সাজানো যাবে বলে মনে করেমোদি সরকার। বিজেপির অনেক নেতা মনে করেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনদেখিয়ে দিয়েছে, উন্নয়ন ছেড়ে শুধু হিন্দুত্বের জয়গান গাইলে রাজনীতিব্যুমেরাং হবে। বিশেষত গো-বলয়ে হিন্দুত্ব করলে সংখ্যালঘুরা বিজেপিরবিরুদ্ধে চলে যাবেন। এছাড়া হিন্দুরাও একজোট হয়ে বিজেপির পাশে দাঁড়াবেন না।কারণ, উদারমনস্করা কট্টর হিন্দুত্ব পছন্দ করেন না। সে জন্যই লোকসভার প্রচারথেকে মোদি শুধু উন্নয়নকেই হাতিয়ার করে এসেছেন। একদিকে তিনি সকলের জন্যউন্নয়নের কর্মসূচি পালন করতে চাইছেন, অন্যদিকে ভবিষ্যতের জন্য অটুট রাখতেচাইছেন বিজেপির ভোটব্যাংককেও। প্রসঙ্গত, মোদি যে মুসলিম বাসংখ্যালঘু বিরোধী নন সেটার প্রমাণ দেয়ার জন্য সম্প্রতি তিনি এক বক্তব্যেবলেছেন, ভারতের মুসলিমরা সমান ভাবে সকল ধরণের নাগরিক সুবিধা নিয়েই ভারতেবসবাস করবেন। তারা দেশের কল্যাণেই বেঁচে থাকবেন। তবে মোদির এমন মহতিউদ্যোগ কতটা বাস্তবসম্মত তা কাজেই প্রমাণ হবে। নাকি সংখ্যালঘুদের নিয়েনতুন কোন রাজনৈতিক চাল চালছেন তিনি!