ঢাকা : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় পর্ব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং মন্দির নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) রথ যাত্রা উপলক্ষে ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। প্রতিবারের মতো এবারও দেশের সবচেয়ে বড় রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে মানিকগঞ্জের ধামরাইয়ে।
সকালে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রথযাত্রার অনুষ্ঠান মালা। এর মধ্যে ছিল হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।
ঢাকার স্বামীবাগের আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)সকালে ইসকন আশ্রমে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মাধ্যমে রথ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। এ উপলক্ষে দুপুরে স্বামীবাগ ইসকন আশ্রমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রিয়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমের অধ্যক্ষ চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। আলোচনা সভা শেষে মঙ্গল প্রদীপ জ্বলিয়ে রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
পরে এখান থেকে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথ দেব, শুভদ্রা ও বলরামের প্রতিকৃতিসহ বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এদিকে রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীর জয়কালি মন্দিরস্থ রাম-সীতা মন্দিরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি ও সেবায়েত গনেশ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পুরনো ঢাকার শাঁখারীবাজার কমিটি আয়োজিত রথযাত্রাটি শাঁখারীবাজার থেকে শুরু হয়ে মধাব গৌড়ীয় মঠে গিয়ে শেষ হয়। জগন্নাথ জিউ মন্দিরের রথযাত্রা তাঁতীবাজার থেকে শুনু হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়াও রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মেলা প্রাঙ্গনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধর্মীয় আয়োজন ও মেলা শুরু হয়েছে। শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির ও শ্রী শ্রী রাধাকান্ত জিউ মন্দির যৌথভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।