প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভায় শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা
শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সংশোধনীতে শ্রমিক ও মালিকদের বিভিন্ন অপরাধে সাজার মেয়াদ কমিয়ে ও ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
শ্রমিকদের জন্য কারখানাগুলোতে বিশ্রাম ও খাবারের জন্য পৃথক কক্ষ রাখারও প্রস্তাব করা হয়েছে এ সংশোধনীতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার সচিবালয়ে শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে শ্রমিকদের জন্য উৎসব ভাতারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
সচিব বলেন, মালিক ও শ্রমিক যে কেউ কোনো অসদাচরণ করলে এক বছর কারাদণ্ডের বিধান করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগের আইনে এ সাজার মেয়াদ ছিল দুই বছরের কারাদণ্ড।
এ ছাড়া কোনো শ্রমিক অহেতুক ধর্মঘট ডাকলে বা কাউকে ধর্মঘট ডাকতে উৎসাহিত করলে তাঁর ছয় মাসের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে সংশোধনীতে। কারখানায় কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে দুই লাখ টাকা এবং কেউ আহত হয়ে স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারালে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে মালিকপক্ষ।