শারীরিক প্রতিবন্ধীত্ব কোন রোগ নয়, বরং এটিকে একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচ জাতির আইসিআরসি আন্তর্জাতিক শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ৫ জাতির আন্তর্জাতিক টোয়েন্টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেস কনফারেন্স রুমে বুধবার সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টুর্নামেন্ট উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আইসিআরসির বাংলাদেশ শাখার প্রধান ক্রিস্টিন চিপোলা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এমন টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এমন টুর্নামেন্ট হওযায় আমি খুশি। আমার বিশ্বাস এ টুর্নামেন্টে তারা স্মরণীয় কিছু করবে। প্রতিবন্ধী হওয়াটা কোনো বাঁধা নয়; এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। শারীরিকভাবে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলেই তাকে সমাজ থেকে বিচ্যুতি করা যাবে না। আমি দেশের মানুষকে অনুরোধ করব, কোনো প্রতিবন্ধীকে কেউ অবহেলা করবেন না, তাদের সুযোগ তৈরি করে দেবেন। তারা সুযোগ পেলে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারে। আমরা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি; কীভাবে তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে জাকজমকভাবে এ টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। প্রকৃতির ওপর তো কারো হাত নেই। এটাই শেষ নয়, ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমরা আরও টুর্নামেন্ট আয়োজন করব।’
টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসাবে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড দল। প্রতিবন্ধীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনের পরই স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাঠে নামার কথা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে উদ্বোধনী ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার আশঙ্কাই প্রকট।
বাংলাদেশ ছাড়া এ টুর্নামেন্টের বাকি ৪টি দল হলো- ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অনুষ্ঠিত হবে।