ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০১:২৩:৩৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণে ৪৬১ কোটির টাকার প্রকল্প

| ১৫ কার্তিক ১৪২৫ | Tuesday, October 30, 2018

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ৪৬১ কোটি টাকার প্রকল্পসহ ২৪ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৭৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, এই ২৪ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৭৪০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১৯ হাজার ৩৬১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৩০৬ কোটি চার লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে পাঁচ হাজার ৭২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণের পাশাপাশি যেখানে গণহত্যা হয়েছে, সেখানকার গণকবরে যারা শায়িত আছেন তাদের নাম খুঁজে বের করে তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

যাদের নাম পাওয়া যাবেনা, সেখানে লিখতে হবে অজানা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর যোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন নামের এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৬০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যতদিন কক্সবাজারে থাকবেন ততদিন তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। তারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া পর স্থানীয় বাংলাদেশিরা এসব অবকাঠামোর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে তাদের জন্য মাল্টি সেক্টর প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

এতে খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে এক হাজার ৪৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এতে সাহায্যে করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

মন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মোট ১৪৮টি একনেক বৈঠক হয়েছে। এসব একনেকে ১ হাজার ২৯৭টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১২৭ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী সব পুলিশের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ১০ তলা ভবন তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈঠকে পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, ৫ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যয়ে বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মাণ। ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে উন্নয়নে ১ হাজার ৫১০ কোটি টাকা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উন্নয়নে ৬৯৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, মাদানী এভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত মেজর রোড প্রশস্তকরণ এবং বালু নদী থেকে শীতলক্ষ্যা নদী পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (প্রথম পর্ব) প্রকল্পে ১ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ও বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২০ তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ৪২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ প্রকল্পে (তৃতীয় সংশোধিত) ৭৯৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক থেকে মাদানী এভিনিউ-সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণে ৪৫৭ কোটি টাকা, ডাক অধিদপ্তরের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণে ৪৮০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল একাডেমী ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজে (দ্বিতীয় সংশোধিত) ৪২২ কোটি টাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর নির্মাণে (সংশোধিত) ৬৫৬ কোটি টাকা, ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনে ৩ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা ও  ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৩৫ কোটি টাকা।

এছাড়া চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিএনএ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণে ৩৫৯ কোটি টাকা, স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেসে ৭৮০ কোটি টাকা, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট উন্নয়নে ১১৮ কোটি টাকা, ঢাকায় বিসিক কেমিকেল পল্লী স্থাপনে ২০২ কোটি টাকা, গাজী ওয়্যারস প্রকল্পে ৬৯ কোটি টাকা ও ৫শ-৬শ মেগাওয়াট এলএনজি বেইজড কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে ও জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পাদন এবং গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৬৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।