ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:২৬:৫৪

র‌্যাবের আরো ৫ সদস্য গ্রেফতার, ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

| ১৪ ভাদ্র ১৪২১ | Friday, August 29, 2014

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের আরো ৫ সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন র্যাব-১১ এর সাবেক সদস্য হাবিলদার এমদাদুল হক, আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক মো. হিরা মিয়া, বেলাল হোসেন এবং সিপাহী আবু তৈয়ব। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে র্যাবের ৮ সদস্যসহ  গ্রেফতারের সংখ্যা ২০ জন।

সাত খুনের ঘটনায় কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালও ফতুল্লা মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন। এই দুই মামলায় র্যাবের এ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

71011_77777.jpg

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে র্যাব-১১ এর সাবেক ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ভূমিকা অনুযায়ী এ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো গ্রেফতারের তালিকায় রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্তে আরো কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে গ্রেফতার করা হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মামুনুর রশিদ মন্ডল গ্রেফতারকৃত  র্যাবের ৫ সদস্যকে গতকাল বুধবার দুপুরে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে তাদের হাজির করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তদন্ত সূত্র জানায়, সাক্ষীদের দেয়া তথ্য মতে, র্যাবের এ পাঁচ সদস্যের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর এ পাঁচজনকে হাজির করার জন্য র্যাব-১১ এর কাছে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মঙ্গলবার রাতেই র্যাব-১১ থেকে তাদের তুলে দেয়া হয় পুলিশের কাছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, গ্রেফতারকৃত পাঁচজন আদালতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের দায় স্বীকার করেছেন। তবে তারা বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তারা একাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনার পুরো পরিকল্পনাতে ছিল র্যাবের ঊর্ধ্বতন তিনজন কর্মকর্তা। মূলত তাদের নির্দেশ পালন করতে গিয়েই তারা সাত খুনের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন। তারা জানিয়েছেন, শুধু চাকরি বাঁচানোর জন্যই সাতজনকে অপহরণ ও পরে হত্যার কাজে তারা সম্পৃক্ত ছিল।