রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসনে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে। আজ শুক্রবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাসস।
বাসস জানায়, এ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগ নবনির্মিত আশ্রয়স্থল এবং শরণার্থীদের অস্থায়ী অবস্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহে দ্রুত যথাযথ জরিপ পরিচালনা করবে। খাদ্য বিতরণ ব্লক অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সহায়তায় শরণার্থীদের অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে নবনির্মিত আশ্রয়স্থল অস্থায়ী তাঁবুতে স্থানান্তর করতে হবে।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার ও সংশ্লিষ্ট স্টাফদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করবে, যাতে তারা জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানকালে সাবধানতা অবলম্বন করে। নির্বাচন কমিশনও নতুন এনআইডি প্রদানকালে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করবে। পাসপোর্ট বিভাগের ডিজি দ্রুততার সঙ্গে নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের নাম নিবন্ধন করবেন।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে অবশ্যই অবিলম্বে ক্যাম্প এলাকায় কাজ শুরু করতে হবে। ২০টি অতিরিক্ত মেডিকেল ক্যাম্প অবিলম্বে আশ্রয় এলাকায় অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের কাজ শুরু করবে। অবশ্য ইপিআই কার্যক্রম শুরু করতে হবে। স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হবে।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, সমাজসেবা বিভাগ অবশ্যই এতিমদের তালিকা প্রস্তুত ও একটি পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং তাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
অব্যবহৃত সিএসডি ও এলএসডিগুলো সাময়িকভাবে ত্রাণসামগ্রী মজুদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বান্দরবানে আসা লোকদের অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে উখিয়া ক্যাম্পে পাঠাতে হবে।
আগত লোকদের পার্শ্ববর্তী নতুন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কাজ সমন্বয় করবে আরআরআরসি। আশ্রয়প্রার্থীরা যাতে ক্যাম্পের বাইরে যেতে না পারে তাও মনিটর এবং দেখভাল করবে আরআরআরসি।
ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনায় এলজিইডি ও এএফডি সড়ক মেরামত এবং নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি পর্যাপ্ত পরিমাণ কলেরার টিকা ও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করবে। যে কোনো প্রকার জরুরি চিকিৎসার চাহিদা পূরণে তাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে।