অবরোধের মধ্যে আবারও রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।শুক্রবার রাতে জোটের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
গত সপ্তাহের পুরো পাঁচ কর্মদিবসেই অবরোধের পাশাপাশি হরতাল কর্মসূচির পর শুক্রবার আবারও হরতালের ঘোষণা এলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশব্যাপী ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা, গুলি করে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে পঙ্গু ও আহত করা, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীসহ নিরীহ জনগণকে গণগ্রেফতার, বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণ, সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে এবং জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলমান অব্যাহত অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি ৭২ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল পালিত হবে।’
‘রাজনৈতিক সঙ্কটকে আইনশৃঙ্খলা সঙ্কট বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে’- এ অভিযোগ করে বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনগণের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা-কর্মী ও গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালনের জন্য ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন রাজধানীতে সমাবেশ করতে ‘ব্যর্থ হয়ে’ সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ অবরোধের মধ্যে দফায় দফায় হরতালও ডাকা হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ ও আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন।সূত্র-সমকাল