ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২১:৩০:৪৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

রিটকারী না থাকায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে রিট খারিজ

| ১৫ মাঘ ১৪২৪ | Sunday, January 28, 2018

 

নতুন করে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।

পরে ইসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, রিটকারী আইনজীবী শুনানির সময় উপস্থিত না থাকায় আদালত ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।

এর আগে এই রিট আবেদন শুনতে পৃথক চারটি বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করেন।

প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য থাকা এবং নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না দেওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত ৩ জানুয়ারি রিট আবেদন করেন।

উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে গত বছরের ৩ জুলাই রায় দেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ। পুনর্বহাল করা হয় সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান।

ওই রায়ের পর ক্ষুব্ধ হয় সরকারের একটি অংশ। সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা প্রকাশ্যে ও জাতীয় সংসদে এস কে সিনহার সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এ প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৩ অক্টোবর থেকে এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা; কিন্তু ওই মেয়াদ শেষ না হতেই গত ১০ অক্টোবর ছুটির মেয়াদ আরো ১০ দিন বৃদ্ধি করেন তিনি।

পরে গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠান। পরে রাষ্ট্রপতি এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

একজন প্রধান বিচারপতির এভাবে পদত্যাগের ঘটনা স্বাধীনতার ৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী এখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন  মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।

দীর্ঘ প্রায় চার মাস ধরে শূন্য আছে প্রধান বিচারপতির পদ। দেশের ৪৬ বছরের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে এ পদটি খালি পড়ে থাকেনি।