ঢাকা: মোবাইলের রিং টোনে কোনও ভারতীয় গান, বিশেষত হিন্দি, বাংলা সিনেমার গান ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। শুধু ভারত নয়, উপমহাদেশের আর কোনও দেশের গানও রিংটোনে রাখা যাবে না।
এক রিট পিটিশনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজি মহম্মদ এজারুল হক আকন্দকে নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ হাইকোর্টের বেঞ্চ। গত জুনে রিট পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস কে শাহিদ আলি।
বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজ২৪ অনলাইনের খবর, মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলির ভ্যালু অ্যাডেড পরিষেবা (ভ্যাস) হিসাবে ভারতের হিন্দি, বাংলা ফিল্ম বা উপমহাদেশের অন্য কোনও দেশেরও গান ও সুর রিংটোনে ব্যবহার করা থেকে ‘বিরত থাকতে’ বলেছে বেঞ্চ।
আবেদনকারীদের কৌঁসুলি মেহেদি হাসান চৌধুরি জানিয়েছেন, মোবাইল অপারেটরদের ভ্যালু অ্যাডেড পরিষেবা হিসাবে ভারতের হিন্দি, বাংলা গান ও সুর ব্যবহার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছে বেঞ্চ। চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে সংস্কৃতি, তথ্য, স্বরাষ্ট্র, আইন মন্ত্রকের সচিবদের, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও মোবাইল পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলিকে।
হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পিটিশনার মেহেদি হাসান চৌধুরি বলেছেন, দেশের আমদানি নীতিতেই ভারত বা উপ মহাদেশের ফিল্ম বাংলাদেশে নিয়ে আসায় নিষেধ রয়েছে। সে কারণেই এসব ছবির গান, সুরও রিং টোন বা কোনও অনুষ্ঠানে অভ্যর্থনা সঙ্গীত হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে না।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের হিসেব, দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ১২ কোটির বেশি। তাঁরা কীভাবে এই নির্দেশ গ্রহণ করেন, সেটাই দেখার।