‘যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এর আগে যৌতুক নিরোধ ব্যবস্থাটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে চলেছে। এখন এটি আইনে পরিণত হলো। নতুন আইনে বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক দাবি করলে, তিনি পাঁচ বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সোমবার (৭ মে) তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
নতুন এই আইনের তিন নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক দাবি করলে, তিনি পাঁচ বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে অর্ডিন্যান্সে জরিমানার বিধান থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত ছিল না। এছাড়া, নতুন আইনের চার নম্বর ধারায় বলা হয়েছে— কেউ যৌতুক গ্রহণ করলে এবং প্রদান করলে উভয়েই দণ্ডিত হবেন। তারা সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল, সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইনের পাঁচ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে— কেউ যদি যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, তারও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সভায় কবি বেলাল চৌধুরীর মৃত্যুতে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি গত ২৭ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লোবাল উইমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করায় তাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) ধন্যবাদ জানায় মন্ত্রিপরিষদ সভা।