ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৫:৪৭:৪০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

যুদ্ধাপরাধে এবার ৩১তম রায়ের অপেক্ষা

| ২৮ মাঘ ১৪২৪ | Saturday, February 10, 2018

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে ৩১ তম মামলার রায় ঘোষণা অপেক্ষায় রয়েছে।
৩১তম এ মামলায় নোয়াখালীর সুধারমের আমির আলীসহ চার জনের বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রাখা হয়েছে।
উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল ৬ ফেব্রুয়ারি এ আদেশ দেয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধপরাধের মামলায় এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ৩১ তম রায়।
২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
আসামী চারজন হলেন-আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন, আব্দুল কুদ্দুস এবং আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৩ জনের আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়ে ৩০ তম মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়।
এদিকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আনা জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও মাওলানা আবদুস সুবহান এবং জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের আপিল মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে এটিএম আজহারকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মো. কায়সারকে মৃত্যুদন্ড এবং ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলায় শান্তি কমিটির নেতা মাওলানা সুবহানকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।
আইন অনুযায়ী সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত এই তিন আসামীই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে।
এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুৎনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের প্রাক্তন আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তণ দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের প্রাক্তণ নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছিল।
আরো বেশক’টি মামলা আপিলে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে বলে জানায় এটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র।