ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:৪২:৪৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

যুদ্ধাপরাধের ৩১তম রায় কাল মঙ্গলবার

| ২৮ ফাল্গুন ১৪২৪ | Monday, March 12, 2018

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে ৩১ তম মামলার রায় ঘোষণা করা হবে কাল মঙ্গলবার।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল কাল রায় ঘোষণার এ আদেশ দেয়।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৩১ তম এ মামলায় নোয়াখালীর সুধারমের আমির আলীসহ চার জনের বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় (সিএভি) ঘোষণার জন্য রাখা হয়। ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আসামী চারজন হলেন-আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন, আব্দুল কুদ্দুস এবং আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর।
গত ১০ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৩ জনের আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়ে ৩০ তম মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়।
এদিকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আনা জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও মাওলানা আবদুস সুবহান এবং জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের আপিল মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে এটিএম আজহারকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মো. কায়সারকে মৃত্যুদন্ড এবং ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলায় শান্তি কমিটির নেতা মাওলানা সুবহানকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। আইন অনুযায়ি সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত এই তিন আসামীই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে।
এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুৎনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের প্রাক্তণ আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তণ দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের প্রাক্তণ নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছিল। আরো বেশক’টি মামলা আপিলে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
এটর্নি জেনারেল কার্যালয় জানায়,পর্যায়ক্রমে এসব মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে ।