ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৪:২৭:৪৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩৩ তম রায়ের অপেক্ষা

| ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ | Saturday, May 19, 2018

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩৩ তম রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে।
৩৩ তম মামলায় মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার জনের বিরুদ্ধে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৭ মার্চ যে কোন দিন রায় ঘোষণার (সিএভি) জন্য রাখা হয়েছিল। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ৩৩ তম রায়। এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির সময় আসামিদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদার (৭৩) হাজির ছিলেন। বাকি তিন আসামি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া, আনিছ মিয়া ও আব্দুল মোছাব্বির মিয়া পলাতক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
প্রসিকিউটর সায়েদুল হক সুমন বাসস’এর সঙ্গে আলাপকালে শিগগিরই এ মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এ পর্যন্ত ৬৩ মামলায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এর মধ্যে ৩৩ মামলার বিচার শেষ হয়েছে। ৩২ টির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ১ টি মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আনা এটিএম আজহারুল ইসলাম, সৈয়দ মো. কায়সার ও মাওলানা আবদুস সুবহানের আপিল মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে আজহারকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাজাকার কমান্ডার ও শান্তি কমিটির সদস্য সৈয়দ মো. কায়সারকে মৃত্যুদন্ড এবং ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলায় শান্তি কমিটির নেতা সুবহানকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।
আইন অনুযায়ি সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত এই তিন আসামীই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে। এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের প্রাক্তন আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তন দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের প্রাক্তন নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছিল। আরো বেশক’টি মামলা আপিলে নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব মামলার শুনানি ও নিস্পত্তি হবে বলে জানান এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।