ঢাকা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:৩০:৫৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

যুদ্ধাপরাধের আরো দুই মামলার আপিল শুনানির কার্যতালিকায়

| ২৯ শ্রাবণ ১৪২৪ | Sunday, August 13, 2017

Image result for যুদ্ধাপরাধের আরো দুই মামলার আপিল শুনানির কার্যতালিকায়

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের দন্ডের বিরুদ্ধে আনা আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় কাল রোববার ১৩ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চের শুনানির কার্যতালিকার ২ ও ৩ নং ক্রমিকে মামলাটি রাখা হয়েছে। ২ নং ক্রমিকে রয়েছে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও ৩ নং ক্রমিকে জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের আপিল মামলা।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। এটি ট্রাইব্যুনালের ১৫ তম রায়। আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ষষ্ঠ রায়।
রায়ে বলা হয়, আসামি আজহারের বিরুদ্ধে আনীত ৬টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে। এর মধ্যে ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদন্ড, ৫ নম্বর অভিযোগে তাকে ২৫ বছরের কারাদন্ড ও ৬ নং অভিযোগে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। এক নম্বর অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে ওই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (খালাস) দেয়া হয়। এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বও মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। এটি ট্রাইব্যুনালের ১৪ তম রায়। আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ৫ম রায়। কায়সারকে ২০১৩ সালের ২১ মে গ্রেফতার করা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচার চলাকালে পুরো সময় তিনি শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন।
এ দুই আসামীই ট্রাইব্যুনালের দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ২৮ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। একটি মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের প্রাক্তন আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তন দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের প্রাক্তন নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছিল।