ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:২৮:৩৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের গুলিতে এ বছর ১২ হাজার নিহত!

| ২৫ কার্তিক ১৪২৫ | Friday, November 9, 2018

 

সারা দুনিয়ার মানবাধিকার ও শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নানাবিধ উদ্যোগ নিতে দেখা গেলেও নিজেদের নাগরিকদের মধ্যেকার বন্দুক হামলার ঘটনা রুখতে পারছে না দেশটি। চলতি বছরে সর্বমোট ৪৯ হাজার সহিংসতার ঘটনায় ১২ হাজার ৫০২ জন মার্কিন নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বন্দুক সহিংসতা নিয়ে কাজ করা একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’ এমন তথ্য দিয়েছে। তবে বিপুল পরিমাণ এই সহিংসতার ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমের নজরে আসে না।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেওয়া হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, শুধু ৫ নভেম্বর দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। খুবই লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হচ্ছে, ওই দিন ৩৬টি আলাদা আলাদা ঘটনায় একজন করে নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এবং গত ৭২ ঘণ্টায় দেশটিতে সর্বমোট ১৩৭টি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এতে আহত হয়েছেন ৭৯ জন এবং নিহত হয়েছেন ৫৯ জন।

২০১৮ সালে এ পর্যন্ত ছোটবড় মিলে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩০৭টি। সারা বছরে ৪৯ হাজার ঘটনার মধ্যে আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে নিহত হয় ১ হাজার ৫২৮ জন, আর ১ হাজার ৩৪৬ জনের মৃত্যু হয় অনিচ্ছাকৃত গুলিবর্ষণে।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবার থেকে এগিয়ে। প্রতি ১০০ জন নাগরিকের ১২০টি বন্দুক রয়েছে এবং এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইয়েমেন প্রতি ১০০ বেসামরিক নাগরিকের হাতে ৫২টির মতো বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক চলে আসছে। ১৯৬৮ সালের আইনটির ৫০ বছর পার হলেও তা সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। ১৯৬৩ সালে দেশটির ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি গুপ্তহত্যার ঘটনার পর বেসামরিক ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ব্যাপারে ব্যাপক উদারতা দেখিয়ে আইনটি করা হয়।

২০১৩ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিনিয়ত যতো বন্দুক হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে তা যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে ওয়েবসাইটে তুলে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সিএনএন ও বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো তাদের খবরে অনেক সময় গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য ব্যবহার করে থাকে।