ঢাকা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:৩০:২৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

যুক্তরাষ্ট্রে ডায়াবেটিসের জাদুর বড়ি আবিষ্কার

| ২৫ মাঘ ১৪২১ | Saturday, February 7, 2015

যুক্তরাষ্ট্রে টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের একটি জাদুর বড়ি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, প্রতিদিন নিয়মিত এ বড়ি সেবনে শারীরিক গঠন পুনর্বিন্যন্ত হয়ে সাধারণত মানুষের অন্ত্র বা নাড়িভুঁড়িতে থাকা একটি উপাদান থেকে এ প্রোবায়োটিক পিলটি আবিষ্কার করেছেন নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
তাদের দাবি, পিলটি ডায়াবেটিস রোগীর অগ্ন্যাশয় থেকে ব্লাড সুগার অন্ত্রে স্থানান্তর করে। সাধারণত সুস্থ মানুষের অগ্ন্যাশয় ইনসুলিনকে পরিশোধন করে গ্লুকোজ কোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় হয় কোনো ইনসুলিন উৎপাদনই করে না কিংবা যে পরিমাণ উৎপাদন করে, তা হরমোনের জন্য যথেষ্ট নয়। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন, প্রোবায়োটিক জাদুর বড়িটি চিকিৎসা রক্তে গ্লুকোজ লেভেল ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। তাদের মতে, এই বড়ির উচ্চতর ডোজ উভয় ধরনের ডায়াবেটিস নিরাময়ে সক্ষম। মানুষের অন্ত্রের নির্যাস থেকে তৈরি এই নতুন জাদুর বড়িতে রয়েছে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল আশা করছে, তাদের তৈরি করা বড়িটি মানুষের শারীরিক বিন্যাস পাল্টে দিয়ে টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিরাময়ের পথ উন্মোচন করবে। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক জন মার্চ বলেন, তাদের আবিষ্কারটি ‘নীতিগতভাবে প্রমাণিত’ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন এটা মানুষের মাঝে ভালোভাবে কাজ করলেই কেল্লা ফতে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষকে আর অন্য কোনো উপায় অবলম্বন করতে হবে না’। ডায়াবেটিস একটি জটিল রোগ। এ রোগে আক্রান্তদের রক্তে থাকে প্রচুর পরিম গ্লুকোজ। কারণ, তাদের দেহ ওই গ্লুকোজ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম নয়। আর ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির অগ্ন্যাশয় হয় ইনসুলিন উৎপাদনে একেবারেই অক্ষম কিংবা পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। এমনকি উৎপাদিত ইনসুলিন যথাযথ কাজে লাগাতেও অক্ষম তাদের দেহ। অথচ দেহের জন্য ইনসুলিন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত এটা দেহকোষের তালা খুলে দেয়, যাতে কোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করে শক্তি জোগাতে পারে। আর ডায়াবেটিস রোগীদের দেহ গ্লুকোজকে জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগাতে অক্ষম, যে কারণে তাদের দেহে কোজের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকে। অধ্যাপক মার্চের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল হিউম্যান প্রোবায়োটিক নামে একটি ল্যাকটোব্যাকিলাস ছাঁকনি তৈরি করেছে, যা সাধারণত মানুষের অন্ত্র বা নাড়িভুঁড়িতে বিদ্যমান। এ প্রোবায়োটিক পেপটাইড নামের একটি হরমোনকে পরিশোধন করে। দেহে খাবার প্রবেশ করলে পেপটাইড হরমোন তা থেকে ইনসুলিন তৈরি করে। গবেষক দল প্রথমে প্রোবায়োটিক পিলটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর ৯০ দিন পর্যন্ত প্রয়োগ করে। এ সময় তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অন্য ইঁদুরের গ্লুকোজ লেভেলের সঙ্গে পিল প্রয়োগ করা ইঁদুরের গ্লুকোজের তুলনা করে দেখেন। এতে দেখা যায়, পিল প্রয়োগ করা ইঁদুরগুলোর গ্লুকোজের মাত্রা অন্য ইঁদুরগুলোর চেয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এর পর আরেকটি পরীক্ষার ফল আরও চমকপ্রদ। বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, ডায়াবেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের অন্ত্রের উচ্চভাগ এমন একটি কোষে পরিণত হয়েছে, যা অগ্ন্যাশয়ের কোষের মতো কাজ করছে। আর সুস্থ মানুষের অগ্ন্যাশয়ের কোষ ইনসুলিন পরিশোধন করে গ্লুকোজের মাত্রায় ভারসাম্য রক্ষা করে। সম্প্রতি ডায়াবেটিস জার্নালে এই গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ হয়েছে। অধ্যাপক মার্চ আরও বলেন, প্রোবায়োটিক বড়ি প্রয়োগের পর ডায়াবেটিস আক্রান্ত ইঁদুরের দেহে গ্গ্নুকোজ সুস্থ ইঁদুরের দেহের গ্লুকোজের সমপর্যায়ে নেমে আসে। তিনি জানান, এখন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে প্রোবায়োটিক পিলের উচ্চতর ডোজের পরীক্ষা চালানো। যেন এটা প্রমাণ করা যায় যে, ওষুধটি উভয় ধরনের ডায়াবেটিস নিরাময়ে সক্ষম। আর এ পরীক্ষা সফল হলে এটাকে পূর্ণাঙ্গ পিল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সেবনের জন্য বাজারজাত করা হবে। প্রতিদিন সকালে তারা ওষুধটি সেবন করবেন। এর মাধ্যমে মুখে হাসি ফুটবে বিশ্বের কোটি কোটি ডায়াবেটিস রোগীর। চিকিৎসাবিজ্ঞানে হবে নবদিগন্তের উন্মোচন। ডায়াবটেসিরে কারণে সংঘটতি ক্ষুদ্র রক্তনালরি সমস্যার কারণে সংঘটতি অসুখ, ডায়াবটেসি নফেরোপ্যাথ কিডনির র্ব্যথতার (রনোল ফইলুর) অন্যতম প্রধান কারণ। ডায়াবেটিসের অন্যতম মারাত্মক জটিলতা যখোনে রোগীর প্রস্রাবে অতরিক্তি প্রোটনিরে উপস্থিতি ক্রমশ বৃদ্ধপ্রিাপ্ত, উচ্চ রক্তচাপ এবং অতরিক্তি কমে যাওয়া কিডনির পরিশুদ্ধিকরণ কাজ ইত্যাদি তীব্র ভাবে দেখা যায়। টাইপ১ ডায়াবেটিস রোগীদরে ৪০% থেকে ৫০% এবং টাইপ২ ডায়াবেটিসের ৩৫% লোক এ সমস্যা আক্রান্ত হতে পারে। ৩০ বছর বয়সের আগে যাদরে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাদের ২৫% এরও বেশি কিডনি ফেইলুর এর শেষ র্পযায় পৌঁছেছে। তবে বেশ কিছু ডায়াবেটিস রোগীকে কডিনরি সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দেখা যায়।  জেনেটিক প্রভাব এখানে কাজ করতে পারে বলে ধারণা করা হয়। ডায়াবটেসি শুরু হবার ১০-২৫ বছর পর ডায়াবটেসি নফ্রপ্যাথি শুরু হয়। ডায়াবটেসি নফ্রপ্যাথরি শুরুটা সবার ক্ষেত্রে এক রকম নয়। ডায়াবেটিস শুরুর সময়কার কিডনির র্কাযক্ষমতা রক্তচাপ ও রক্ত প্রবাহ এসব বিষয় ডায়াবেটিসের নফ্রপ্যাথরি শুরু ও ক্রমবিবর্তনকে প্রভাবতি করে শুরুর দিকে কিডনির আকার কিছু বড় হয় তারপরই প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে কিডনির ছাকনি কাজ ৬০% এর বেশি কমে গেছে। এ সময়ে রক্তচাপ বাড়তে থাকে আর রক্তে নাইট্রোজেনের বর্জ্য পদার্থ জমার হার বাড়তে থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীদরে অনেকেই শেষ পর্যন্ত কিডনীর সমস্যায় ভুগতে পারনে। সূত্র-কালের কণ্ঠ