ঢাকা: দক্ষিণ চীন সাগরের যে এলাকায় চীন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে, তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমানের নজরদারিতে ‘চরম অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছে চীন।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের কাজ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। অন্যথায় এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে বলে হুঁশিয়ার করেছে দেশটি।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পোসেইডন গোয়েন্দা বিমান ওই বিরোধপূর্ণ এলাকাটির ওপর দিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। বিমানটিতে পেন্টাগনের আমন্ত্রনে বার্তা সংস্থা সিএনএনের একটি টিমও ছিল। এসময় চীনা নৌবাহিনী বিমানটিকে ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য আটবার সতর্ক করে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই বলেছেন, চীনা সামরিক বাহিনী ওই বিমানটিকে ভাগিয়ে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপ সম্ভাব্য দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক পদক্ষেপ। এসব পদক্ষেপে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে। এ বিষয়ে আমরা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছি। যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক ধারা কঠোরভাবে মেনে চলার এবং ঝুঁকি ও উস্কানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ সংশ্লিষ্ট এলাকাটি চীন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং কোনো সাগর ও আকাশ দুর্ঘটনার ক্ষতি থেকে চীনের দ্বীপগুলো ও রিফগুলোকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের মুখপাত্র স্টিভ ওয়ারেন বলেছেন,এটি ছিল নিয়মিত মিশন। কয়েকদিন পরপর ওই পথ দিয়ে বিমান যাতায়াত করে।
তিনি দাবি করেন, যে কৃত্রিম দ্বীপটির চারপাশের এলাকাকে চীন তার অঞ্চলগত সীমানা বলে দাবি করছে তার ১৯ কিলোমিটারের মধ্যে পোসেইডন বিমানটি যায়নি। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা আরও ঘটবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।