ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০২:২১:৫৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

| ১৬ আশ্বিন ১৪২১ | Wednesday, October 1, 2014

  •  

সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈতনীতির সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 

Print Friendly and PDF

0

 

3

 


4549

 


 

 

 

 

 

 

 

 

মোদী কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট।

“১৯৯০ সালের শুরুর দিকে আমি যখন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করি, সে সময় আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশের (পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে) পৃষ্ঠপোষকতায় মুম্বাইয়ে চালানো সিরিজ বোমা হামলাকে ভারতের আইন-শৃঙ্খলার দুর্বলতা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তারা।”

“আমাকে তখন বোঝানো হয়, ভারত নিজেদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। বিদেশি ইন্ধনেই যে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, সে বিষয়ে তারা ছিল অন্ধকারে। নাইন-ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই যখন সরাসরি এ ধরনের হামলার শিকার হলো, তখন পরিস্থিতি পাল্টে গেল।”

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নাম উল্লেখ না করে পাকিস্তানেরও সমালোচনা করেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের বিষয়গুলো অন্যভাবে দেখানোর জন্য।

“আমাদের প্রতিবেশী দেশটি পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসাবে সন্ত্রাসীবাদ ব্যবহারের কৌশল নিয়েছে। এ কৌশল এখন তাদের জন্যই ‘ফ্রাংকেনস্টাইন’ হয়ে উঠেছে। কোনো দেশকে বাগে আনতে না পারলে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রকে ‘অবরোধ’ আরোপ করতে দেখা যায়, যদিও আমাদের প্রতিবেশী দেশটি যখন সন্ত্রাস রপ্তানি করে- তখন যুক্তরাষ্ট্রের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। এটা যে বড় ধরনের দ্বিমুখী আচরণ আমেরিকানদের তা বোঝা উচিত।”

এক প্রশ্নের জবাবে মোদী সরাসরিই বলেন, “সন্ত্রাসের প্রকৃতি পুরোপুরি না জানলে আপনি এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন? এখানে বাছাবাছির কোনো সুযোগ নেই। কেউ আপনার ওপর বোমা মারলে সে সন্ত্রাসী; আর আমার শহরে যখন বোমা হামলা হলো- তখন সেই ঠিক, বিশেষ করে সে যখন আপনার মিত্র (পাকিস্তান)। এটা চলতে পারে না।  এ ধরনের দ্বৈতনীতি বজায় রাখলে আপনারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জিততেও পারবেন না।”

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি হত্যার বিচার চেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈতনীতির সমালোচনা করেন।

তার আগের দিন নিউ ইয়র্কে শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদীর প্রথম বৈঠক হয়। ৪৫ মিনিটের ওই বৈঠক শেষে মোদী সন্ত্রাস দমনে শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন সফরসঙ্গী জানান।

“সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ একটি মডেল।  সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হাসিনাজি (শেখ হাসিনা) কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। সীমিত সক্ষমতা নিয়ে এ কাজ করতে গিয়ে তিনি বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়েছেন।”

মোদী বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই একক লড়াই চালাতে গিয়ে শেখ হাসিনার জীবনও যে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে সে বিষয়েও তিনি অবগত।