ঢাকা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০০:৫৬:১৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

যারা বলে ‘নৌকা ঠেকাও’ তাদের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী

| ৭ শ্রাবণ ১৪২৫ | Sunday, July 22, 2018

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যারা বলে ‘নৌকা ঠেকাও’ তাঁদের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, তাহলে কি তারা ঐ রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধীদেরকেই আবার ক্ষমতায় বসাতে চান?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আবার একটা শ্রেণী রয়েছে যাদের কোন উন্নয়নই চোখে পড়ে না। আবার কেউ কেউ বলেন, নৌকা ঠেকাতে হবে। আমার প্রশ্ন নৌকা কেন ঠেকাতে হবে। নৌকা ঠেকিয়ে কি ঐ রাজাকারদের, যুদ্ধাপরাধীদেরকেই আবার ক্ষমতায় আনবেন?’
প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁর সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় একথা বলেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তোরণ, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, অষ্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ এওয়ার্ড অর্জন এবং আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডিলিট ডিগ্রী’ অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করে। জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সম্মাননা পত্র পাঠ করেন। তিনি পরে সেই সম্মাননাপত্র প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে পৌঁছলে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনতা হাত নেড়ে, পতাকা উচিয়ে মুহুর্মুহু শ্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
তাঁর লক্ষ্যটাই দেশের উন্নয়ন উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা মনে করেন প্রবৃদ্ধি অর্জন ভাল নয়, দেশ উন্নয়নশীল হলে ভাল নয়, তাদেরকে আমার সন্দেহ হয়, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে কি না বা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না। নাকি তারা ঐ স্বাধীনতা বিরোধীদের পদলেহনকারী সেটাই আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছে, এই নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, এই নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে এবং আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ ক্লাবে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা স্যাটেলাইট যুগে পৌঁছাতে পেরেছি, আজ বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ২২ ভাগে নেমে এসেছে এবং দারিদ্রের হার আরো হ্রাস করে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্রমুক্ত করতে পারবো ইনশাল্লাহ।

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে বন্যা আসার সময় হচ্ছে। এই শ্রাবণ মাস শেষে ভাদ্র মাসেই আবার পানি আসতে পারে। তখন তারা কি নৌকায় চড়বে না, তাদেরকেও তো নৌকায় চড়তে হবে। অন্তত রাজনৈতিক নেতা যারা তাদের ত্রান বিতরণ করতে গেলেও নৌকাতেই যেতে হবে। তাহলে নৌকা ঠেকাবেন কেন? নৌকার অপরাধটা কি?
তিনি বলেন, যারা নৌকা ঠেকাতে চায় তাদের কাছে সেটাই আমার প্রশ্ন?
সরকার প্রধান বলেন, যারা ঐ সামরিক শাসকদের উচ্ছিষ্ট খেয়ে জীবন ধারণ করেছে বা বড় হয়েছে তাদের মুখেই একথা মানায়। কিন্তু যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের মুখে এ কথা মানায় না।
দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন,স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবি সহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন আওয়ামী লীগেরই দাবি ছিল। যাতে জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশী নির্বাচন-উপনির্বাচন হয়েছে । প্রত্যেকটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করেছে। গণতন্ত্র যদি দেশে নাই থাকবে, তাহলে মানুষ ভোট দিয়ে এসব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো কিভাবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপির ভাংচুর, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা এবং নৈরাজ্যের সমালোচনা করে জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জনগণ প্রতিহত করেছিল বলেই তারা ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দেশ আমরা স্বাধীন করেছি। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই জনগণ কিছু পায়। দেশের জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, তাঁদের অস্তিস্ব টিকে থাকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,’৭৫ থেকে ‘৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত দেশের মানুষ দেখেছে যে কি হয়েছে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে যে মর্যাদা পেয়েছে সেখান থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দেশকে কিভাবে আমরা উন্নত করবো সেই পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। সেই কথা চিন্তা করেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন,তাঁর সরকার এই রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট,ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-বরিশাল, পায়রাবন্দর সহ বিভিন্নস্থানে বুলেট ট্রেন (দ্রুতগতির ট্রেন) চালু করে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করা হবে।
আকাশ পথে যোগাযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বিমানবহর একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত ছিল, ইতোমধ্যে নতুন বিমান ক্রয় করা হয়েছে, আরো ৭টা নতুন বিমান আমরা ক্রয় করবো। যা আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করবে।
সেই সাথে সৈয়দপুর বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট,চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আরো উন্নত করবে তাঁর সরকার বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি-জামায়াতের শামনামলে ধ্বংস প্রাপ্ত রেলের পুনরুজ্জীবনে সরকার আলাদা মন্ত্রণালয় সহ নতুন নতুন স্থানে রেল যোগাযোগ স্থাপন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে আজ তাঁর সরকার সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি দেশের সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে পায়রা বন্দর পর্যন্ত এবং উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত চারলেন করে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌ চলাচলের জন্য চ্যানেলগুলো উন্মুক্ত করায় তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্নতা অর্জন করেছে এখন জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমান আর বাকি সময় দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেন উল্লেখ করে বলেন,‘আমি কোনো উৎসবে যাই না। সারাক্ষণ আমার একটাই চিন্তা-দেশের উন্নয়ন, দেশের মানুষের উন্নয়ন।’
জাতির পিতার কাছ থেকে পাওয়া রাজনৈতিক শিক্ষার আলোকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই তার লক্ষ্য উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু তনয়া বলেন,‘জাতির পিতার পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো। প্রতিটি গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি গ্রামের মানুষ সকল নাগরিক সুবিধা পাবে । সেভাবেই আমরা গ্রামের মানুষের অবস্থার উন্নতি করতে চাই।’
তিনি বলেন,‘শিক্ষা-দীক্ষায় সব দিক থেকে বাংলার মানুষ উন্নত জীবন পাবে। ক্ষুধা আর হাহাকার থাকবে না। একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষ উন্নত জীবন পাবে’।
তিনি দৃঢ় কন্ঠে বলেন,‘ মৃত্যু যখন আসবে তখন মৃত্যু আসবেই। কিন্তু মৃত্যুর আগে আমি মরতে রাজি নই। তার আগে যতক্ষণ জীবন আছে বাংলার মানুষের সেবা করে যাবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষ কিছু পায়। মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকে এটা আমরা বারবার প্রমাণ করেছি।
তিনি ’৭৫ পরবর্তী শাসকদের দু:শাসনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ২১ বছর তারা মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। হাড্ডিসার, কঙ্কালসার দেহ দেখিয়ে বাইরে থেকে টাকা এনে তারা সে টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়া বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে জিয়াই ‘দায়মুক্তি’ অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে ক্ষমতায় যেতে পারলে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। সে কাজ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। আজ বিশ্বে আবারো বাংলাদেশের মর্যাদা পুণ:প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়šীÍ, দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশে উদযাপিত হবে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।
উন্নয়ন ও অর্জনে অসাধারণ সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এদিন জনতার ঢল নামে।
লাল-সবুজ পোশাকে উদ্যানের সমাবেশস্থল ও আশপাশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি, দোয়েল চত্বর,হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন ও শাহবাগ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ নিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, নেচে-গেয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভায় আসেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, সড়ক দ্বীপে শোভা পায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, উন্নয়নের শ্লোগান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য গাঁথা সম্বলিত বিলবোর্ড-প্ল্যাকার্ড । সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেও সাজানো হয় নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টারসহ অপরূপ সাজে।
বেলা দুইটা থেকেই সাংস্কৃতিক নানা আয়োজনের মধ্যে শুরু হয় গণসংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা। উন্নয়নের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির পক্ষ থেকে সরকারের অর্জন ও উন্নয়ন সংবলিত একটি প্রকাশনা সবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা দুপুর সাড়ে তিনটায় মঞ্চে আসার পর তাঁকে নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ।
এরপর ‘আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ শিরোনামে গীতিনাট্য পরিবেশন করা হয়। হয় আবৃত্তি আর নৃত্য পরিবেশনা।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মূল মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।
ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কলি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ মণিহার আমায় নাহি সাজে।’
প্রাপ্ত সংবর্ধনা বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা জনগণের। আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই। আমি জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। তাদের জন্য কাজ করছি। এদেশের মানুষের ভাগ্য যেদিন পরিবর্তন হবে, সেদিন নিজেকে সার্থক মনে করবো।’বাংলাদেশের মানুষ যা কিছু অর্জন করেছে, মহান ত্যাগের মাধ্যমেই অর্জন করেছে বলেও উল্লেখ করেন জাতির জনকের কন্যা।
বাংলার মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বাসস্থান নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণই আমার উদ্দেশ্য।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ এবং উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানের সংবর্ধনা অংশ এবং সংগঠনের সমাজকল্যান সম্পাদক অসীম কুমার উকিল সাংস্কৃতিক অংশটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায় থেকে আগত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, চাকরিজীবী, শিক্ষকসহ সকল শ্রেণী-পেশার জনগণ অংশগ্রহণ করেন।