ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:৪১:৪৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

মুহিতের বক্তব্যে অস্থির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

| ২৫ ভাদ্র ১৪২২ | Wednesday, September 9, 2015

muhit

স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিরূপ মন্তব্যের জেরে অস্থির হয়ে ওঠেছে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

দাবি আদায় এবং মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা পাঁচ দিন, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি এবং অর্থমন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ মঙ্গলবার সকালে এই ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে দুই দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ডাক দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই দাবিতে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে। দাবি আদায় এবং অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নতুন পে-স্কেল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বেতনের জন্য আন্দোলন করছেন। তাঁদের কর্মবিরতির কোনো যুক্তি নেই। তাঁরা জানেনই না যে নতুন বেতন কাঠামোতে তাঁদের জন্য কী আছে আর কী নেই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার জানা নেই, কোথায় তাঁদের মর্যাদার হানি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের করাপ্ট প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। প্রত্যেকেই এখানে সহজেই অধ্যাপক হয়ে যান।

সহযোগী অধ্যাপকদের তাঁরা খেয়াল খুশি মতো পদোন্নতি দেন। দেখা গেছে, নিচে ১০ জন প্রভাষক; কিন্তু ওপরে এক হাজার অধ্যাপক। এটা কিছু হলো? শুধু ওপরে পদোন্নতি হবে, এটা ঠিক না।

অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে শুধু অনভিপ্রেত নয়, অসংলগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক নেতারা। বস্তুতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবের কারণেই তিনি এরূপ দায়িত্বহীন মন্তব্য করেছেন বলে মনে করেন শিক্ষকেরা।

মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের এক বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা এ মন্তব্য করেন। তারা বলেন, মন্ত্রীর মুখে অন্তত জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষকদের বিষয়ে এরূপ অবাঞ্ছিত বক্তব্য নিতান্তই অশোভন।