পাকিস্তানের মুন্নিকে তার বাবা-মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে যে ভাবে মন-প্রাণ উজাড় করে দিয়েছিলেন বজরঙ্গি ভাইজান। ঠিক তেমনই মুমূর্ষু পাক তরুণী সাবা আহমেদ-কে সুস্থ অবস্থায় তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে মনের সঙ্গে সঙ্গে পকেটও উজাড় করে দিল মুম্বাই।
সাবা উইলসন রোগে ভুগছে। অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে ভারতে চিকিত্সার জন্য এসেছেন তার মা নাজিয়া। আপাতত জশলোক হাসপাতালে ডা. আভা নাগরালের চিকিত্সাধীন সে। দুরারোগ্য এই মারণ ব্যধির চিকিত্সার খরচ সাধারণের আওতার বাইরে। তবে শুধুমাত্র মনের জোর আর ৮০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে ভারতে মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন নাজিয়া। কিন্তু খরচের কথা শুনে হতাশ হয়ে পড়েন। সে সময় মুম্বইয়ের একটি এনজিও তাঁর কাছে আশার আলো নিয়ে আসে।
দ্য ব্লুবেল কমিউনিটি নামের ওই এনজিওটি সাবার সাহায্যের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। সারা ষহরের কাছে অনুরোধ করে, যাতে সাবার চিকিত্সার জন্য সকলে কিছু না কিছু দান করেন। এর পর থেকেই নাজিয়ার কাছে অবিরাম ফোন আসছে। অনেকেই টাকা দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে এসেছেন। এঁদের মধ্যে একজন ১ লক্ষ টাকার চেকও দিয়েছেন। তিন মাসে সাবার চিকিত্সারয় খরচ হবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। সেই পুরো টাকাই এই তহবিলের মাধ্যে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনজিওটি। অনলাইনেও এদের তহবিলে টাকা জমা করা যাচ্ছে।
এর আগেও গত এপ্রিল মাসে সাবাকে নিয়ে তাঁর মা মুম্বাইয়ে আসেন চিকিত্সার জন্য। ডা. আভা জানান, এই রোগের জন্য সাধারণ যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, সেটা সাবা-র ক্ষেত্রে কাজ করছে না। সে জন্য আমেরিকার উইলসন ডিজিজ অ্যাসোসিয়েশনের কাছে চিঠিও লেখেন তিনি, যাতে ই রোগের লেটেস্ট ওষুধটি দিয়ে তারা সাহায্য করে। ওষুধটির খরচ প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।