ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ০০:১৮:৫৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি ‘মাছ-মাংসের আশা করি না, শেষ ভরসা সবজিতেও আগুন’ দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

মুক্তি পেয়েই দ্রুত চলে গেলেন হাসনাত করিম

| ২৫ শ্রাবণ ১৪২৫ | Thursday, August 9, 2018

 

ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিম মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় দুই বছর কারাবন্দি থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, আদালতের কাগজপত্র বুধবার রাতে কারাগারে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসনাত করিমকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি কারা ফটকের সামনের রাস্তায় অপেক্ষমাণ একটি কালো জিপ গাড়িতে চড়ে স্বজনদের সঙ্গে দ্রুত কারা এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে নব্য জেএমবির কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি ঢাকায় গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায়। জঙ্গিরা হোটেলে অবস্থানরত ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করে। পরদিন সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী পাঁচ তরুণ রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল নিহত হন। হামলার ঘটনার সময় ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হাসনাত করিম সপরিবারে হলি আর্টিজান বেকারিতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের উদ্ধারের পর সন্দেহ সৃষ্টি হলে পুলিশ হাসনাত করিমকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়।

তদন্তকালে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে। এদের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হয়। জীবিত আট আসামির মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগর। অপর দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন পলাতক রয়েছে।

তদন্ত শেষে গত ২৩ জুলাই জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ওই অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। চিহ্নিত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্তে ওই হামলার সঙ্গে হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি জানিয়ে অভিযোগপত্রে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার হাসনাত করিমকে এ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা প্রায় ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে ওই হামলা চালিয়েছিল। দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা এবং বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বানানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।