ঢাকা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:০১:৩২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈঠক ৩ মে

| ৬ বৈশাখ ১৪২৬ | Friday, April 19, 2019

Image result for পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

মিয়ানমারের নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পরবর্তী জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে। এতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ প্রত্যাবাসনে এ পর্যন্ত যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরবর্তী বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠক ৩ মে তাদের রাজধানীতে (নেপিডো) অনুষ্ঠিত হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আসিয়ানের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য আসিয়ান প্লাস নামে আসিয়ানের কাছে ইতিমধ্যে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনকালে যাতে নিরাপদ বোধ করে তার জন্য আসিয়ানের সদস্যদেশগুলো ওই নিরাপদ অঞ্চলটি মনিটর করতে পারে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন জেডব্লিউজি বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ‘নিরাপদ অঞ্চল প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকট প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে।’ তিনি বলেন, ‘তারা কয়েকবারই আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ইতিমধ্যে যে রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করেছে তারা তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করবে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই কাজটি শুরু করা হয়নি।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এমনকি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশও এখন পর্যন্ত সৃষ্টি করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের কারণেই রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধনে সমর্থ হইনি। তারা (মিয়ানমার) এই সংকট সৃষ্টি করেছে এবং তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা কঠিন।’

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন কাজ শুরুর লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। তা ছাড়া ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর উভয় দেশ প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রিত রয়েছে। যারা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।