রাজধানীর মিরপুরে দারুস সালামের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় অভিযান শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার ‘কমলপ্রভা’ নামের ওই ভবনের সামনে করা এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের সমাপ্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি জানান, ওই বাড়ি থেকে ১৭টি বোমা, ২০টি ক্যামিকেল বোমা, ৩০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, তিন কেজি সালফার, এক কন্টেইনার এসিড, ১০ কেজি গান পাউডার ও দেশীয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
মুফতি বলেন, ‘ওই বাড়িতে ৩০টি ফ্রিজ পাওয়া যায়। বিস্ফোরক থাকতে পারে বিধায় খুব সাবধানে এগুলো খোলা হয়েছে। দুটি ফ্রিজের সঙ্গে শক্তিশালী বোমার কানেকশন দেওয়া ছিল।’
মুফতি আরো বলেন, ‘বিস্ফোরণে চারতলা ও পাঁচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটগুলো র্যাবের হেফাজতে আছে।’ তিনি আরো জানান, ভবনটি বসবাসের উপযোগী কি না, তা বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখবে।’
গত বুধবার ওই বাড়ির একটি কক্ষ থেকে সাতটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। র্যাব জানায়, নিহতদের মধ্যে আছে ‘জঙ্গি’ আবদুল্লাহ, তাঁর দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান।
অন্য দুজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে মুফতি জানান, ওই দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। গত মঙ্গলবার দিনভর আবদুল্লাহকে আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করা হয়। দুপুরে আবদুল্লাহ বোন মেহেরুন্নেসা বেরিয়ে এসে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। একই দিন ওই ভবনের ২৩টি ফ্ল্যাট থেকে ৬৫ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময় দিলেও আবদুল্লাহ আত্মসমর্পণ করেননি বলে জানায় র্যাব। রাতে বিস্ফোরণের শব্দ শুরু হয়। র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আত্মসমর্পণ না করে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে আবদুল্লাহ। ওই ঘটনায় র্যাবের চারসদস্য আহত হন।