ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:২৭:০৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

| ১০ আশ্বিন ১৪২৫ | Tuesday, September 25, 2018

নিউ ইয়র্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের পারস্পরিক স্বার্থে ব্যবসা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন নিয়ে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে এই ব্যপারে সরকারের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। আমি আপনাদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি উভয়ের পারস্পরিক স্বার্থে আপনাদের ব্যবসা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন নিয়ে বাংলাদেশে আসুন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার্স অব কমার্সের উদ্যোগে গ্রান্ড হায়াত হোটেলে অনুষ্ঠিত এক মধ্যাহ্ন ভোজন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
‘অনুগ্রহ করে, আমাদের অংশীদারিত্বমূলক মুনাফা এবং উন্নয়নের যাত্রায় শরিক হোন। আমি এক্ষেত্রে আমার সরকারের পূর্ণ সাহায্য ও সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করছি,’ -যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজ বিনিয়োগ নীতি বিদ্যমান রয়েছে, যেখানে আকর্ষণীয় প্রণোদনা এবং সর্বোচ্চ মুনাফা লাভেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
‘যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কে আইন দ্বারা সুরক্ষা প্রদান, কর অবকাশের মত প্রণোদনা, যন্ত্রপাতি আমদানীর ক্ষেত্রে স্বল্প শুল্ক, কাঁচামাল আমদানীতে আয়কর রেয়াত, টেমিট্যান্স অন রয়্যালটি, শতভাগ বৈদেশিক ইক্যুয়িটি এবং বিনা বাধায় লাভ এবং আসলসহ পুঁজি প্রত্যাবাসন সুবিধা’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যান্য সুবিধার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বেতন-ভাতায় তরুণ, নিবেদিত প্রাণ এবং সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য জনশক্তি, ব্যবসা স্থাপনে স্বল্প ব্যয়, বৃহৎ শুল্ক ও কোটা মুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ ও পানির সুবিধা, বাংলাদেশের উন্নত ক্রেডিট রেটিংয়ের সুবিধা,স্বল্পতম ঝুঁকি এবং দ্রুত প্রযুক্তির আধুনিকায়ন সুবিধা।
বাংলাদেশের ভৌগলিক কৌশলগত অবস্থানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক কৌশলগত অবস্থান বাংলাদেশকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক আউট সোর্সিয়ের উদীয়মান কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমরা এগুলোকে সংযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ৪শ’ কোটি মানুষের বাজারের একটি প্রবেশ দ্বার হতে পারে এবং দেশটির নিজেরও প্রায় ১৬ কোটি জনগণের একটি শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধনশীল বাজার রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা নেদারল্যান্ডের সরকারের সহযোগিতায় ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ গ্রহণ করেছি, যার লক্ষ্য হচ্ছে বন্যা এবং নদীর ভাঙ্গন রোধ করে পানির নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।