ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আরো ২৭টি মামলা তদন্ত করছে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সানাউল হক বাসস’কে আজ এ কথা জানান।
ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে আরো ১৩ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ৯ টি মামলার বিচার চলছে এবং একটি মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছে। প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া মামলাগুলোর ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) প্রস্তুত হচ্ছে। এসব মামলায় ফরমাল চার্জ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এর আগে আরো ২৮ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষিত মামলার মধ্যে সুপ্রিমকোর্টে আপিলে ৭ টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। চুড়ান্ত রায় শেষে ৬ আসামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়াও আপিলে আরো ১৮ মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব আপিল মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র।
ট্রাইব্যুনালে আরো একটি মামলার রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রয়েছে। এটি হবে ট্রাইব্যুনালের ২৯ তম রায়। মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমান রেখে গত ৯ মে আদেশ দেয়া হয়। রায় ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন-জামায়াতের সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জন। অন্যান্য আসামিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মো. আব্দুল লতিফ, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা।
তদন্ত সংস্থা সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ পর্যন্ত মোট ৭১০টি অভিযোগ জমা পড়েছে (৩৭২০ জনের বিরুদ্ধে)। এর মধ্যে ৫১টি অভিযোগে তদন্ত সম্পন্ন হয়। ২৮টি মামলা ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ হয়েছে। একটি মামলা বিচার শেষে রায়ের জন্য রয়েছে। ১৩ মামলায় পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে এবং ৯ টি মামলায় বিচার চলছে। তদন্তাধীন অবস্থায় আসামী মৃত্যুবরণ করায় ৫টি অভিযোগ ফেরত দেয়া হয়। তদন্ত সংস্থায় বর্তমানে ৬৫২টি অভিযোগ রয়েছে।