ঢাকা, মার্চ ২৮, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৫:৪২:০৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সমীপে, যখন বিজয়ের ৪৪ বছরের সূর্য উঠবে, দেশে মাতবে বিজয়ের আনন্দে তখন তারা ভাতের চিন্তায় ভিক্ষার থালা নিয়ে রাস্তায়’

| ৪ পৌষ ১৪২১ | Thursday, December 18, 2014

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সমীপে,  যখন বিজয়ের ৪৪ বছরের সূর্য উঠবে, দেশে মাতবে বিজয়ের আনন্দে তখন তারা ভাতের চিন্তায় ভিক্ষার থালা নিয়ে রাস্তায়' =========================================================  নিয়তী বালা দাসের চামড়া জড়ানো চোখের কোণে জল লক্ষ্য করা গেল। কিছুক্ষণ চেষ্টা করলেন কান্না থামানোর। কিন্তু পারলেন না। অবশেষে কাঁদতে লাগলেন। তার সঙ্গী ছিলেন শহীদ শিতল দাসের স্ত্রী পঞ্চমী দাস (৭২), শহীদ নগেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুধাশু বালা (৭০), শহীদঘেতন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুশীলা বালা (৭১), শহীদ বিভারণ চন্দ্র দাসের স্ত্রী নিয়তী বালা (৬৮), শহীদ নিবারণ চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুন্দরী দাস (৭০), শহীদ শ্রীকান্ত দাসের স্ত্রী তরু বালা (৭২), শহীদ যোগেন্দ্র নাথের স্ত্রী অনন্ত বালা (৬৯), শহীদ যদুনাথ চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রমীলা দেবী (৬৬) ও নগেন্দ্র নাথ কর্মকারের স্ত্রী যমুনা বালা কর্মকার। তারাও নিয়তী বালার সঙ্গে বসে পড়লেন।রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার যুগীশো পালশা গ্রাম। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ওই গ্রামের হিন্দু পল্লী থেকে স্থানীয় রাজাকারের সহযোহিতায় পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪২ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালিয়ে গুলি করে হত্যা করে। বিধবা হয় ৪২ নারী। অনেক কিছু বদলে গেছে। কিন্তু বদলায়নি ওই ৪২ পরিবারের ভাগ্য। বিধবা ৪২ নারীর মধ্যে বেঁচে থাকা ৩৫ জনের সবাই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে।সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা। শীতের সকালে চারিদিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা। যুগীশো গ্রামের হিন্দু পল্লীর ৭ থেকে ৮ জন নারীর দল সাদা কাপড় পরে গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছে। সবার বয়স ৬০ এর উপরে। কাছে গিয়ে জানা গেল তারা সবাই ভিক্ষা করার জন্য বের হয়েছেন। সেদিনের কথা কি আর ভুলা যায় ক্যা। দিনটি আছিল অবিবার (রবিবার)। সুর্য মাথার ওপরে উঠিছে এ সময় দুইটি গাড়িতে পাক বাহিনী গায়ে ঢুকি পড়ে। পাক বাহিনীর গাড়িতে সেদিন ছিল বখতিয়ারপুর গাঁয়ের পিচ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরকার। সেদিন আজিজ সরকারের নির্দেশে আমাদের গাঁয়ের মানুষকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশ ঝাড়ের কাছে।নিয়তী বালা বলেন, বাঁশ ঝাড়ের কাছে নিয়ে গিয়ে মাটির দিকে মুখ করে শুইয়ে দেয়া হয় ওই ৪২ জনকে। এরপরে চলে বুট আর বেয়োনেট দিয়ে নির্যাতন। এভাবে কিছুক্ষণ নির্যাতন করার পরে ব্রাশফায়ার করে ৪২ জনকেই হত্যা করা হয়। হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পাক বাহিনী চলে গেলেও বখতিয়ারপুর গ্রামের পিচ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরকারের নেতৃত্বে সেদিন সমস্ত হিন্দু পল্লীতে আগুন ধরিয়ে লুটপাট চালানো হয়। যারা বেঁচে ছিলো তারা প্রাণ বাঁচাতে ওই রাতেই ভারতে পালিয়ে যায়।স্বাধীনতার পরে তারা দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু এসে দেখা যায় কোনো কিছুই তাদের নেই। বাড়ি-ঘর সব খোলা মাঠ হয়ে গেছে। ফসলী জমি গুলো দখল হয়ে গেছে।শহীদ শিতল দাসের স্ত্রী পঞ্চমী দাস অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের স্বামীদের এভাবে হত্যা করা হলেও মেলেনি শহীদের স্বীকৃতি। এমনকি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন ধারনের জন্য দেয়া হয়নি সরকারি কোনো অনুদান।   সুত্র : ইলিয়াস আরাফাত, বাংলামেইল২৪ডটকম

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সমীপে,
যখন বিজয়ের ৪৪ বছরের সূর্য উঠবে, দেশে মাতবে বিজয়ের আনন্দে তখন তারা ভাতের চিন্তায় ভিক্ষার থালা নিয়ে রাস্তায়’
=========================================================

নিয়তী বালা দাসের চামড়া জড়ানো চোখের কোণে জল লক্ষ্য করা গেল। কিছুক্ষণ চেষ্টা করলেন কান্না থামানোর। কিন্তু পারলেন না। অবশেষে কাঁদতে লাগলেন। তার সঙ্গী ছিলেন শহীদ শিতল দাসের স্ত্রী পঞ্চমী দাস (৭২), শহীদ নগেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুধাশু বালা (৭০), শহীদঘেতন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুশীলা বালা (৭১), শহীদ বিভারণ চন্দ্র দাসের স্ত্রী নিয়তী বালা (৬৮), শহীদ নিবারণ চন্দ্র দাসের স্ত্রী সুন্দরী দাস (৭০), শহীদ শ্রীকান্ত দাসের স্ত্রী তরু বালা (৭২), শহীদ যোগেন্দ্র নাথের স্ত্রী অনন্ত বালা (৬৯), শহীদ যদুনাথ চন্দ্র দাসের স্ত্রী প্রমীলা দেবী (৬৬) ও নগেন্দ্র নাথ কর্মকারের স্ত্রী যমুনা বালা কর্মকার। তারাও নিয়তী বালার সঙ্গে বসে পড়লেন।রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার যুগীশো পালশা গ্রাম। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ওই গ্রামের হিন্দু পল্লী থেকে স্থানীয় রাজাকারের সহযোহিতায় পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪২ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালিয়ে গুলি করে হত্যা করে। বিধবা হয় ৪২ নারী। অনেক কিছু বদলে গেছে। কিন্তু বদলায়নি ওই ৪২ পরিবারের ভাগ্য। বিধবা ৪২ নারীর মধ্যে বেঁচে থাকা ৩৫ জনের সবাই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে।সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা। শীতের সকালে চারিদিক কুয়াশার চাদরে ঢাকা। যুগীশো গ্রামের হিন্দু পল্লীর ৭ থেকে ৮ জন নারীর দল সাদা কাপড় পরে গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছে। সবার বয়স ৬০ এর উপরে। কাছে গিয়ে জানা গেল তারা সবাই ভিক্ষা করার জন্য বের হয়েছেন।
সেদিনের কথা কি আর ভুলা যায় ক্যা। দিনটি আছিল অবিবার (রবিবার)। সুর্য মাথার ওপরে উঠিছে এ সময় দুইটি গাড়িতে পাক বাহিনী গায়ে ঢুকি পড়ে। পাক বাহিনীর গাড়িতে সেদিন ছিল বখতিয়ারপুর গাঁয়ের পিচ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরকার। সেদিন আজিজ সরকারের নির্দেশে আমাদের গাঁয়ের মানুষকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশ ঝাড়ের কাছে।নিয়তী বালা বলেন, বাঁশ ঝাড়ের কাছে নিয়ে গিয়ে মাটির দিকে মুখ করে শুইয়ে দেয়া হয় ওই ৪২ জনকে। এরপরে চলে বুট আর বেয়োনেট দিয়ে নির্যাতন। এভাবে কিছুক্ষণ নির্যাতন করার পরে ব্রাশফায়ার করে ৪২ জনকেই হত্যা করা হয়। হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পাক বাহিনী চলে গেলেও বখতিয়ারপুর গ্রামের পিচ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরকারের নেতৃত্বে সেদিন সমস্ত হিন্দু পল্লীতে আগুন ধরিয়ে লুটপাট চালানো হয়। যারা বেঁচে ছিলো তারা প্রাণ বাঁচাতে ওই রাতেই ভারতে পালিয়ে যায়।স্বাধীনতার পরে তারা দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু এসে দেখা যায় কোনো কিছুই তাদের নেই। বাড়ি-ঘর সব খোলা মাঠ হয়ে গেছে। ফসলী জমি গুলো দখল হয়ে গেছে।শহীদ শিতল দাসের স্ত্রী পঞ্চমী দাস অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের স্বামীদের এভাবে হত্যা করা হলেও মেলেনি শহীদের স্বীকৃতি। এমনকি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন ধারনের জন্য দেয়া হয়নি সরকারি কোনো অনুদান।

সুত্র : ইলিয়াস আরাফাত,
বাংলামেইল২৪ডটকম