ঢাকা : ঈদুল আজহার আগেও একবার রায়হানের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল বাবুর্চি শাহ আলম। ঈদের পর একই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ওত পেতে থাকে সে। একই মাদ্রাসার বড় ভাই রনির সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল রায়হান। রাত আড়াইটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাথরুমে যায় সে। কিন্তু বাদ সাধে বাবুর্চি শাহ আলম, তাকে জোর করে পুনরায় বলাৎকার করতে চায় সে।
রায়হান হুমকি দেয়, ‘এবার কিছু করলে সবাইকে বলে দেব।’ এরপর রায়হানকে জোর করে রান্না ঘরে নিয়ে যায় শাহ আলম। সেখানে বলাৎকারের চেষ্টা করে সে। না পেরে রায়হানকে জবাই করে হত্যা করে শাহ আলম।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, সোমবার ঘটনার পরপরই মাদ্রাসার ছয় শিক্ষক, চার খাদেম ও এক বাবুর্চিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বাবুর্চি স্বীকার করে, রায়হানকে সে-ই হত্যা করেছে।
হত্যার পর শরীরে লেগে থাকা রক্ত কাপড় দিয়ে মুছে রান্নাঘরের পেছনে ফেলে দেয়। নিজেও গায়ে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করে ঘুমায় সে।
হাবিবুর রহমান বলেন, বাবুর্চি শাহ আলম এই মাদ্রাসায় পাঁচ মাস আগে কাজ করতে আসে। এর আগে সে মিরপুরের একটি মাদ্রাসায় একই কাজ করত। সেখানেও সে ছাত্রদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। বাড়িতে স্ত্রী আছেন। তিনি এখন সন্তানসম্ভবা। শাহ আলম মাদ্রাসায় হাফেজি লাইনে পড়াশোনা করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে উত্তরায় কিউরি নামের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র জুবায়ের আহাম্মেদকে পুকুরের মধ্যে বলাৎকার করতে না পেরে তাকে হত্যা করে আলজেরিয়ার নাগরিক আবু ওবায়েদ কাদের। সে এখন কারাগারে অবস্থান করছে।