ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:৫৭:৪৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মুখে গায়ত্রী মন্ত্র!

| ১০ শ্রাবণ ১৪২২ | Saturday, July 25, 2015

img‘ওম বুর বুব স্বোয়াহা… ’-  গায়ত্রী মন্ত্র। হিন্দু ধর্মানুসারীরা সকালের প্রার্থনায় সমবেত কিংবা একা একা পাঠ করে থাকেন। কিন্তু মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত মুসলমান শিক্ষার্থীরা গায়ত্রী মন্ত্র প্রার্থনায় পাঠ করছেন- এমনটা শোনা যায়নি এর আগে। তবে  ব্যতিক্রমী ঘটনাটি বেশ কয়েকদিন ধরেই নিয়মিত ঘটছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায়। দেশটির ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এখবর জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌর মাদ্রাসাগুলোয় মুসলমানদের পাশাপাশি সনাতন হিন্দু ধর্মের শিশুরাও পড়াশোনা করে। মুসলমান ও হিন্দু ধর্মের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অপূর্ব নিদর্শন এসব মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয়।  রাজ্যটিতে এ ধরনের মাদ্রাসা রয়েছে ১২৮টি। যেগুলোয় সকালের প্রার্থনায় গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করা হয়। এসব মাদ্রাসা-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশেরও বেশি হিন্দু শিশু। সব মিলিয়ে এ সব মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। একেক মাদ্রাসার একেকটি নাম রয়েছে। যেমন- মাদ্রাসা জয় বর্ধমান পাবলিক স্কুল, মাদ্রাসা খালসা পাবলিক স্কুল ও মাদ্রাসা নাকোডা পাবলিক স্কুল।

এ ধরনের একটি মাদ্রাসায় পড়ে ইমরান, সাজিদ ও রেহান। তাদের বাবা মোহাম্মদ বাকিল শাহ। তিনি বলেন, ‘এ সব স্কুলে পড়াশোনা করার ফলে আমার সন্তানরা অতিরিক্ত জ্ঞানার্জন করে। হিন্দু ধর্ম জানা কিংবা সকালের প্রার্থনায় গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করায় আমি ক্ষতিকর কিছু দেখি না। এতে বরং আমার সন্তানরা অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে পারছে ও বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা লাভ করছে। এটা আমাদের সমাজ ও দেশের জন্য ভালো।’
আরেক অভিভাবক সঞ্জয় ভার্সি বলেন, সরকারি বা বেসরকারি কোনও স্কুলেই ধর্ম শেখায় না। আমি শিশুদের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি, কারণ, এখানে ইংলিশ মিডিয়ামের পাশাপাশি ধর্ম সম্পর্কেও শেখানো হয়। শিশুরা ১৬ ধরনের ধর্মীয় সংস্কার (রীতিনীতি) শিখছে। তাই আমি তাদের এখানে ভর্তি করিয়েছি।
২২০টি মধ্যে  ১২৮টি মাদ্রাসা পরিচালনা করে তালাত কোরেশি পরিচালিত নিডা মহিলা মণ্ডল নামক একটি এনজিও। ৭৮ টি মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের মৌলিক বিষয় শেখানো হয়। অন্যদিকে মুসলমান শিশুদের ইসলাম ধর্ম শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয়।
এ সব মাদ্রাসার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এতে শিক্ষাদানকারী ৮৬৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬৩০ জন হিন্দু।

জেলার মাদ্রাসা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী শহিদ কোরেশি বলেন, হিন্দু ও মুসলমান শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬ টি বিশেষ বই ছাপিয়েছি। আমরা কোনও দান ও জাকাত নেই না। আমরা প্রত্যেক শিশুর কাছ থেকে বার্ষিক ১ হাজার ৮০০ রুপি ফি নেই। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে মাদ্রাসাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, আমরা ওই পথেই মাদ্রাসাকে পরিচালনা করতে চাই।
ধর্মের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেই বোর্ড স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষার অনুমতি দিয়েছে জানিয়ে শহিদ কোরেশি বলেন, প্রতিটি ক্লাস হিন্দি ও উর্দু ভাষায় নেওয়া হয়। প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়াটা সহজ ছিল। কিন্তু আমরা এটাই চেয়েছিলাম।

http://m.banglatribune.com/tribune/single/105454