স্টাফ রিপোর্টার:গত ১২ জুলাই ঢাকাস্থ মতিঝিলের ভূইয়া ম্যানশনে বিকাল ৪টায় হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এক মতবিনিময় সভা ও সংঠনের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন গঠন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভায় হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান স্বাধীন বাংলা বেতার মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মৎসজীবী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট সোমনাথ দে। আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায় , সেক্রেটারি জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার,অর্গানাইজিনং সেক্রেটারি অশোক চন্দ্র রায়, কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি সাধন লাল দেবনাথ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ল. অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি এড. বাসুদেব গুহ ,এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অঙ্গ সংগঠন ষ্টুডেন্ট ফোরামের আহব্বায়ক অজয় কুমার বিশ্বাস,ইয়ুথ ফোরামের আহব্বায়ক এড. বিবেক চন্দ্র জোর্য়াদারসহ হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ঠ সংগীত পরিচালক জননন্দীত উদীয়মান শিল্পী এস ডি লাল কে হিন্দু
হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কালচারাল ফোরাম সভাপতি নির্বাচিত করা হয় । এই সময় এস ডি লাল তার সু-মধুর শুরালো কন্ঠে গান গায়ে সবাই কে মুগ্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের বিভিন্ন মন্দির,প্রাচীন স্থাপত্য ও বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যাকে সমাধান করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে সেক্রেটারি জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন যে সমাজ সাংস্কৃতি শূন্য সেথায় সভ্য সমাজ গড়ে উঠতে পারেনা তাই সমাজকে আরো সুন্দরতর করতে হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক ফোরম গঠন করা হয়েছে। আর এ সাংস্কৃতিক ফোরম সাধন লাল দেবনাথ (এস ডি লাল) এর হাত ধরে এগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন হিন্দু কল্যাণে হিন্দু ফাউন্ডেশনের গুরুত্ব কতটা অপরিসীমতা বুঝার আর বাকী নাই । দীর্ঘ ৩৪ বছর পেড়িয়ে গেলেও হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট আজও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ফাউন্ডেশনে রূপান্তরিত হতে পারেনি। আমরা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ফাউন্ডেশন না পেলেও পেয়েছি সরকার অনুমোদিত সংস্থা হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশন।
একটি কথা বলে রাখা ভাল আমরা হাজারো অনিবন্ধিত সংগঠনের ভিরে সরকার অনুমোদিত হিন্দুদের নিয়ে কাজ করার জন্য তেমন কোন সংগঠন গড়ে তুলতে পারিনি। অনেক দেরিতে হলেও পরম করুনাময়ের অশেষ কৃপা ও সরকারের সহযোগীতায় গত ১৯ এপ্রিল ২০১৭ইং তারিখে হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশন সরকারের নিবন্ধন লাভ করে। যা হিন্দু সমাজের বহু আকাঙ্খীত স্বপ্ন পূরণ করেছে এবং হিন্দু ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হযেছে।
তাই আমরা নিস্চই বুঝতে পারছি যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তথ্য ও প্রযুক্তিযুক্ত সচেতন সমাজ ও বিশ্বায়নের সাথে কাজ করতে নিবন্ধিত সংস্থার কোন বিকল্প নেই। যারা আমরা এই সংগঠনে কাজ করাছি তাদের উচিত হবে, হিন্দু সেবা ও মানবতার সংগঠন হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনকে দূর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে বীরচিত্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক সংগে সহযোগীতার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তাই আসুন সংর্কীন মন-মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে এসে জাতি ও মানবতার সেবায় যুক্ত থাকতে সংগঠনকে সহযোগীতা করি।