ঢাকা : বাংলা গানের মরমী ও লোক সংগীত শিল্পী আবদুল আলীমের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শিল্পী ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
মরমী এই শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকালে বনানী কবরস্থানে শিল্পীর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিটিভি ও বিভিন্ন বেসরকারি টিভিতে শিল্পীকে নিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হচ্ছে।
পল্লীমা সংসদের পক্ষ থেকে রাজধানীর শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগারে আবদুল আলীমকে নিয়ে আজ ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে প্রতিটি ক্লাসে শিশুদের আবদুল আলীমের গান শোনানো হয়। শিল্পী আবদুল আলীমের বড় মেয়ে আক্তার জাহান আলীম একটি ক্লাসে বাবার গান গেয়ে শোনান।
এদিকে এ উপলক্ষে পল্লীমা মহিলা পরিষদ ও শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খিলগায়ে অবস্থিত ৫ম তলার পাঠাগার কক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
‘সুজন সখি’ ছবির গানে কন্ঠ দেয়ার জন্য আবদুল আলীম ১৯৭৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৯৭৭ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) এবং ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম (সবাক) ছবি ‘মুখ ও মুখোশ’ থেকে শুরু তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন।
শিল্পী আবদুল আলীম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই তৎকালীন ভারতের পশ্চিবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
আবদুল আলীলের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে- এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া, সর্বনাশা পদ্মা নদী, হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ, নাইয়ারে নায়ের বাদাম ত্ইুলা, দুয়ারে আইসাছে পালকি, আমারে সাজাইয়া দিও, পরের জায়গা পরের জমি, মনে বড় আশা ছিল, সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা, উজান গাঙের নাইয়া, এই সংসারে কেউ নাই আপন জনা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।