বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি সৌজন্য: দূরদর্শন নিউজ
মঞ্চে বসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চে একমাত্র বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিশ্বভারতীর আচার্যও।
বোলপুরে পৌঁছে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার জায়গা নয়।’’ কিন্তু সুচারু ভাবে প্রধানমন্ত্রী একপ্রকার ‘সরকারি প্রকল্পের’ প্রচার করে রাজনৈতিক বক্তৃতাই দিয়ে গেলেন।
নরেন্দ্র মোদী শুরু করলেন বাংলায়। বললেন, ‘‘শান্তির নীড় শান্তিনিকেতনে এসে শান্তি অনুভব করছি।’’ সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিলেন উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের থেকে। ‘‘আমি যখন গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে আসছিলাম, তখন অনেকে ইশারায় বলছিলেন পানীয় জল নেই। বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি ক্ষমা চাইছি’’— বলেন মোদী।
মোদীর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ভাষণ শুরু হতেই দর্শকদের মধ্যে থেকে উঠল ‘‘জয় শ্রীরাম’’ ধ্বনিও। দর্শকাসনের সামনের সারিতে তখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
এর পরে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ ধরে ধরেই নিজের সরকারের প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ডিজিটাল ইন্ডিয়া, উজ্জ্বলা যোজনা, গ্রামোন্নয়ন নিয়ে তাঁর সরকার কী কী কাজ করছে তার খতিয়ানও দেন তিনি।
২০২১ সালে বিশ্বভারতীর ১০০ বছর হচ্ছে। তার মধ্যে ১০০ গ্রামকে স্বনির্ভর করে তোলার আহ্বানও জানান নরেন্দ্র মোদী। প্রতিশ্রুতি দেন, ‘‘আপনারা এক কদম চললে সরকারও চার কদম যাবে।’’
শুক্রবার সকালে বোলপুরের হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মমতা নিজে। মোদী ও মমতার মধ্যে সৌজন্য বিনিময়ও হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পরে মোদী ও হাসিনা বাংলাদেশ ভবনেরও উদ্বোধন করেন।