হাওড়া: সামনেই যুদ্ধ। সেনাপতি কী রণকৌশল বাতলে দেন সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন সৈন্যরা। অথচ, সেনাপতি যেন বুঝিয়ে দিলেন, ১৬র যুদ্ধে ওয়াক ওভার। যুদ্ধ হবে আরও চার বছর পরে।
সোমবার, হাওড়ার শরৎ সদনে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বার্তা শুনে অনেকে কটাক্ষের সুরে এমনটাই বলছেন। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে একটি বারের জন্যও মোদীর সেনাপতির গলায় শোনা যায়নি ২০১৬র নির্বাচন প্রসঙ্গ। বরং তিনি বুঝিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির লক্ষ্য ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। যা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা হলে কি বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে ওয়াক ওভার দিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী? এটা কি মোদী-মমতার নৈকট্যের ফসল?
সূত্রের খবর, এ দিন অমিত শাহ পাঁচ রাজ্যের দলীয় সাংগঠনিক বৈঠকে বার্তা দেন, ২০১৯’র জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আমরা সব আসন জিততে পারব না। দিল্লি থেকেও আমরা সব আসন পাব না। বাংলা থেকে ২০১৯-এর বিজয়রথ চালু করতে হবে।
অথচ, লোকসভা ভোটে যখন বিজেপি এ রাজ্যে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছিল, তখন গেরুয়া শিবিরের তরফে বার বার ২০১৬-য় মমতা সরকারকে উৎখাতের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এ দিন অবশ্য লক্ষ্যটা বদলে গেল। ইনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, মোদী-মমতার সম্পর্কের সমীকরণও কি পাল্টায়নি। সারদা কেলেঙ্কারির ততদন্তভার সিবিআই হাতে নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়তে থাকে। তাদের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদরা গ্রেফতার হন। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এরপর থেকেই মমতার, মোদী বিরোধিতার আঁচও যেন কমে। তারপর নানা বিষয়ে মোদী-মমতার সখ্য সামনে এসেছে। তার জেরেই কি বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে ওয়াক ওভার বিজেপির।